আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বিএনপির একাধিক নেতাকে তারেক জিয়া বলেছেন, “আমি দেশে ফিরছি, প্রস্তুতি নিন। দুই সপ্তাহের মধ্যে দিন-ক্ষণ জানাবো। সারাদেশ থেকে যেন জনজাগরণ হয় সেটার প্রস্তুতি নিন এবং দলকে শক্তিশালী করুন।” তারেকের এই টেলিফোন বার্তায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানতে চেয়েছেন, “সত্যি দেশে ফিরবেন, না এটা স্রেফ একটা প্রপাগান্ডা?” সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তখন তারেক বলেছেন, “আমি দেশে ফিরবো এবং দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমি তারিখ জানাবো।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিএনপির যে সমস্ত নেতার সঙ্গে তারেক জিয়া দেশে ফেরার কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী। ধারণ করা হচ্ছে, বিএনপিতে যে সাংগঠনিকভাবে কোন্দল, মতবিরোধ এবং দলের তৃণমূলের মধ্যে হতাশা রয়েছে তা কাটানোর জন্য এবং দলের কোন্দল মেটানোর জন্য তারেক আকস্মিকভাবে দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কূটনৈতিক সূত্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, তারেক এই মুহূর্তে চাইলেও দেশে ফিরতে পারবেন না। কারণ তিনি পাসপোর্ট ব্রিটিশ হোম ডিপার্টমেন্টে জমা দিয়েছেন। ব্রিটিশ হোম ডিপার্টমেন্ট তার পাসপোর্ট বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠিয়েছে এবং তার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। তারেক জিয়া বর্তমানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তবে ব্রিটিশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেকোন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তি যদি দেশে ফিরতে চান সেক্ষেত্রে পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না। একটি পারমিট পাস দিয়ে তাকে সে দেশে ফেরানো যায়।
উল্লেখ্য, তারেক জিয়াকে দেশে ফেরানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি লিখিত আবেদন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে এবং হোম ডিপার্টমেন্ট সেটা তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ তারেককে দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সেটি হলো, তারেক জিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে সরকার যে অভিযোগ করেছে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্রিটিশ হোম ডিপার্টমেন্ট তাকে একটি লিখিত নোটিশ দিয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, তাকে নব্বই দিনের মধ্যে এই অভিযোগ খণ্ডাতে হবে। অর্থাৎ আগামী ১৫ জুনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে হবে। তবে তারেক জিয়া দেশে ফিরে যান বা না যান, তার দেশে ফিরে যাওয়ার এ ঘোষণায় দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র : বাংলা ইনসাইডার