ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।
নওগাঁর ধামইরহাটে প্রাথমিক বৃত্তি ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পাওয়ায় শিক্ষক ও অভিভাবক মহল ক্ষোভ জানিয়েছেন। ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও পুনঃমূল্যায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার।
১ এপ্রিল (সোমবার) দুপুর ১২টায় ধামইরহাট উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহানের মা সুলতানা রাজিয়া বলেন, তার মেয়ে ২০১৮ সালে প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ফলাফলে ৬শ’ নম্বরের মধ্যে ৫৯০ নম্বর পেয়ে ধামইরহাট উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়।
সম্মেলনে অভিভাবক ও বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, আমার মেয়ের ফলাফল প্রকাশের পর কে বা কারা আমার মেয়ের নকল বাবা সেজে অনলাইনে খাতা পুনঃমূল্যায়নের আবেদন করে; যাতে করে আমার মেয়ের ফলাফল খারাপ হয়। কিন্তু সেই তদন্তেও আমার মেয়ের পূর্বের নাম্বার বহাল থাকে।
পরবর্তীতে গত ২৪ মার্চ ২০১৯ তারিখে বৃত্তির ফলাফল অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হলে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে। এতে পরিবার ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ ও ফল প্রত্যাখ্যান করে। বর্তমানে মেয়েটি দিন-রাত কাঁদছে ও পড়ালেখা করবে মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন যে, আমার ভবিষ্যত জীবনেও কুচক্রিমহল উন্নতি হতে দেবে না। আমি এর বিচার চাই এবং আমার প্রাপ্ত ট্যালেন্টপুল বৃত্তি আমাকে দেয়া হোক। বিষয়টি আমি পরে উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস বরাবরে অবগত ভুক্তভোগীর পরিবার এবং মহাপরিচালক বরাবর বৃত্তি ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের আবেদন করে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, “বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয় ভাল সমাধান দিতে পারবেন।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মণ্ডলকে “কে নকল বাবা সেজে আবেদন করল বিষয়টি আপনি খতিয়ে দেখবেন কিনা এবং কিভাবে এমন বিতর্কিত ফলাফল জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কে অনলাইনে আবেদন করল, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়, অধিদপ্তর এ বিষয়ে ভাল বোঝে।”
সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক দেলোয়ার হোসেন ও সুলতানা রাজিয়া দম্পতি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হয়েও কিভাবে এমন বিতর্কিত ফলাফল হয়েছে এবং কে অভিভাবক সেজে কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্থী ইসরাত জাহানের জীবন নষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত তার সঠিক তদন্ত দাবি করেন।