আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
হুট করেই ভয়াবহ দুঃসংবাদ নেমে এসেছিল জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেলের জীবনে। তার মস্তিষ্কে ধরা পড়েছিল টিউমার। সেটা অপারেশনের জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে গত শনিবার দেশে ফিরেছেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন একটি সুখবরও। একেবারে সঠিক সময়ে ধরা পড়ায় এবং অস্ত্রোপচার হওয়ায় তার মাথার টিউমারটি প্রাণঘাতী ক্যান্সারে রূপ নেয়নি। তবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে মোশাররফকে।
দেশে ফিরে বিশ্রাম শেষে সোমবার (১ এপ্রিল ২০১৯) বিসিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন রুবেল। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলায় দেখা হয়ে যায় সতীর্থদের সঙ্গে। সবাই তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে অভিনন্দন জানান। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “মানুষের এত ভালোবাসা পাব, এত সাড়া পাব ভাবিনি। প্রতি মুহূর্তে খবর নিয়েছে সবাই। কথা বলতে একটু সমস্যা হচ্ছে, হাসপাতালে আমাকে দেখতে অর্থমন্ত্রী, গণপূর্ত মন্ত্রী, বিসিবি সভাপতি এসেছিলেন। সাকিব, মাশরাফী, তামিম খবর নিয়েছে। এত ভালোবাসা পাব, চিন্তা করিনি। দেশবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”
কিছুদিন পর আবারও সিঙ্গাপুর যেতে হবে মোশাররফকে। টিউমারের জীবাণু পুরোপুরি নির্মূল করতে নিতে হবে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি। বায়োপসি রিপোর্ট অনুযায়ী টিউমারটা ক্যান্সারে রূপ নেয়নি। মাত্র ১২ দিনের মধ্যে টিউমারটা ‘গ্রেড-১’ থেকে ‘গ্রেড-৩’ এ চলে যায়। দ্রুত অস্ত্রোপচার করা না গেলে ক্যান্সারের শঙ্কা ছিল। টিউমারের অস্ত্রোপচারেই প্রায় ৩৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে মোশাররফের। অত্যাধুনিক ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল থেরাপিতে লাগবে আরও ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা।
মোশাররফের চিকিৎসার এই পর্বত প্রমাণ খরচের বোঝা কিছুটা হলেও কমিয়ে দিতে পাশে দাঁড়িয়েছে বিসিবি এবং বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটাররা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোশারফ হোসেন রুবেলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার পৌরশহরের পূর্ব চন্দ্রগ্রামে।
সূত্র : কালের কণ্ঠ