মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
হাটহাজারীতে আবারও সুমি আকতার (৩২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল ২০১৯) বেলা ২টার দিকে পৌরসভার উত্তর মোহাম্মদপুর ৯ নং ওয়ার্ডের আরসার আলী সুফির বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে বলে জানা যায়, নিহত সুমি আকতার পৌরসভার চন্দ্রপুর ৭ নং ওয়ার্ডস্থ হক সাহেব পাড়ার মৃত অলী ও মনোয়ারা বেগমের কন্যা। স্বামী রাশেদের সাথে সুমি আকতারের দীর্ঘ তের বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমি আকতারকে যৌতুকের জন্য প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো।
আজও সকালের দিকে নিহত গৃহবধূ সুমি আকতারের সাথে তার শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের ঝগড়া হয়। প্রতিদিনের মতো নিহতের ছেলেমেয়ে স্কুলে চলে যাবার পর কোনো এক সময় স্বামীর পরিবারের লোকজন মিলে তাকে হত্যা করে লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাদের সংসারে রুমি আকতার (১০) ও নাইম (৮) নামের দু’টি ছেলেমেয়ে রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে তায়েফ (৫) পুত্র ও বিথনি (২) বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহতের ভাই জানান, আমার বোনকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার বোনের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
মডেল থানার এসআই জসিম জানান, খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে শ্বশুরবাড়ির ঘরের ফ্লোর থেকে লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ ঘটনার আসল রহস্য বের হয়ে আসবে বলেও জানান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ এপ্রিল ২০১৯) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গুমানমর্দ্দনে ইউনিয়নে ওয়াশিল তালুকদার বাড়ি থেকে ২ সন্তানের জননী ওমান প্রবাসীর খোরশেদুল আলমের স্ত্রীর সুলতানা পারভীন মনির (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছিল হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।