আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্সিয়া দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া এড়াতে আত্মহত্যা করেছেন। গ্রেফতারের আগ মুহূর্তে নিজের মাথায় ছোড়া গুলিতে আহত হলে তাকে রাজধানী লিমার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পেরুর বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ঘুষ গ্রহণের মামলা তদন্তের স্বার্থে গত নভেম্বরে গার্সিয়ার দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পেরুর একটি আদালত। পরে তিনি লিমায় উরুগুয়ের দূতাবাসে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। তবে তার সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।
বুধবার ভোরে লিমায় গার্সিয়ার বাসভবনে তাকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ কর্মকর্তারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তখনই নিজেকে গুলি করেন ৬৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
পেরুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুলেমা টমাস জানিয়েছেন, ৬টা ৪৫ মিনিটে তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
টুইটারে এক পোস্টে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভিজকারা সাবেক প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ এবং ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দুই মেয়াদে পেরুর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যালান গার্সিয়া। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের সময় ব্রাজিলের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওদেব্রেচেটের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
তদন্তকারীদের দাবি, রাজধানীতে একটি মেট্রোলাইন নির্মাণের সময় ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। ওদেব্রেচেট স্বীকার করে নিয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে পেরুতে তারা প্রায় ৩ কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গার্সিয়ার দাবি, রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই।