মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
হাটহাজারী পৌরসভার আদর্শগ্রামে দেয়াল ধসে রিয়া (৩) নামে এক মেয়েশিশু গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২১ এপ্রিল রোববার সকাল ১০টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কিছুদিন আগে ইয়াবাসহ ইদ্রিস এবং তার শ্যালিকার জামাই রুবেলকে আটক করেছেন মডেল থানার পুলিশ। সেই ইদ্রিসের বাড়িতে নির্মিতব্য সেমিপাকা ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে গুরুতর আহত হয় শ্যালিকার কন্যাশিশু রিয়া। স্থানীয়রা শিশু রিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে শিশু রিয়া চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এদিকে ইদ্রিস তার নতুন ঝুঁকিপূর্ণ দেয়াল দিয়ে নির্মিত সেমিপাকা ঘরটি আসন্ন বর্ষাকালে যে কোনো সময় ভেঙ্গে গিয়ে মৃত্যুর মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশি সালাউদ্দীনসহ অনেকেই। শুধু তাই নয়, পৌরসভার আদর্শগ্রামে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে সেমিপাকা ও পাকা দালান নির্মাণের হিড়িক পড়লেও পৌরসভা দেখেও না দেখার ভান করে আসছে বলে দাবি পৌর আদর্শগ্রামবাসীর।
বেশ কয়েকবার পাকা দালান নির্মাণে এ প্রতিবেদক পৌর প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ খানকে অবহিত করলেও কোন কার্যকরি পদক্ষেপ চোখে পড়েনি আদর্শগ্রামবাসী ও প্রতিবেদকের। পৌরসভার উদাসিনতার কারণে এমন দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে।
স্থানীয় পৌরবাসীরা বলেন, আমাদেরকে যে কাগজপত্র দেয়া হয়েছে সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে কোনো সেমিপাকা কিংবা পাকা দালান নির্মাণ করা যাবে না এবং ক্রয়-বিক্রয় যোগ্য নহে উল্লেখ থাকার পরও শতাধিকের বেশি সরকারি জায়গায় সেমিপাকা ও পাকা দালান নির্মাণ করেছে এবং করছেন। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় ও সেমিপাকা আর পাকা দালান নির্মাণ করছেন। নেই কোনো পৌরসভার অনুমোদন; জিজ্ঞাসা করলে বলে অনুমোদন আছে।
পৌরসভার আদর্শগ্রামে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে সেমিপাকা ও পাকা দালান নির্মাণের কারণে দেয়াল ধসের দুর্ঘটনার বিষয়ে পৌর প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি পৌরসভার সদস্যের কাছে জানতে বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।