বিশেষ সংবাদদাতা ।।
‘জঙ্গিবাদের পথ রুখে-ঠেকাও জাতির শত্রুকে’ এই শ্লোগানে আজ শুক্রবার কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী ছড়া সম্মেলন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়। এর আগে একটি শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শিল্পকলায় গিয়ে শেষ হয়। চার পর্বে বিভক্ত এ সম্মেলনে সারাদেশের অন্তত দুই শতাধিক ছড়াকার-শিশু সাহিত্যিক অংশ নেন। কিশোরগঞ্জ ছড়াকার সংসদ চতুর্থবারের মতো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় বলেন, ছড়া শিশু-কিশোরদের ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। ছড়া বা ছড়া সাহিত্য শিশুদের মেধা বিকাশ তাদের সৃজনশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাজেই এ ধরনের সম্মেলন নিয়মিত আয়োজন করা প্রয়োজন।
সভায় বক্তৃতা করেন, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফর উল্লাহ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু নাসের বেগ। স্বাগত বক্তব্য দেন, কিশোরগঞ্জ ছড়াকার সংসদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জাহান। উদ্বোধনী পর্বে করিমগঞ্জের আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলনের শিশুদের বৃন্দ ছড়া আবৃত্তি উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মোহিত করে।
দ্বিতীয় পর্বে ছিলো ‘শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পদক’ প্রদান। এ পর্বে সভাপতি ছিলেন ছড়াকার সিরাজুল ফরিদ। প্রধান অতিথি ছিলেন ছড়াকার আলম তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি নাসির আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের আহবায়ক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। আলোচনা করেন দৃশ্যপট ’৭১ এর সভাপতি নাসির উদ্দীন ফারুকী। ছড়া সাহিত্যে অবদান রাখায় এবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পদক দেয়া হয় বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার দেলওয়ার বিন রশিদ, ছড়াকার সোহেল মল্লিক, স. ম শামসুল আলম ও সুবীর বসাককে। তৃতীয় পর্বে ছিলো ‘সেকালের ছড়া এ কালের ছড়া’ শীর্ষক আলোচনা। আলোচক ছিলেন ছড়াকার অদ্বৈত মারুত ও মহিবুর রহিম। পরে সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল উন্মুক্ত ছড়া-কবিতা পাঠ, জারি, ছড়াগান, লোকগান ও গীতি নৃত্যনাট্য পরিবেশনা।