সংবাদদাতা ।।
গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে উন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার ও স্বাস্থ্যভ্যাস উন্নয়ন বিষয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে চাহিদা তৈরির উদ্দেশ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ নিকলী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় স্যানিটেশন ও হাইজিন ক্যাম্পেইন। স্যানিটেশন মার্কেটিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় স্যানিটেশন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মারিয়া এন্টারপ্রাইজ ও মা স্যানিটারী’র উদ্যোগে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় গণনাটক, আলোচনা ও হাত ধোয়া প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে আয়োজিত হয় উক্ত ক্যাম্পেইন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কারার সাইফুল ইসলাম। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ কারার মাহমুদা পারভীন। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ওয়াশ কো-অর্ডিনেটর মোঃ ইকবাল হোসাইনের সঞ্চালনায় আয়োজিত উক্ত ক্যাম্পেইনে কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, মারিয়া এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর হামিদুর রহমান সবুজ, মা স্যানিটারীর প্রোপ্রাইটর মোঃ কফিল মিয়া ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কলেজের সকল শিক্ষার্থী এবং কলেজ পাশ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনগোষ্ঠী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও ল্যাট্রিন পরিচ্ছন্ন রাখার মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই সাধারণত উদাসিন থাকে। আমাদের অধিকাংশ রোগ-ব্যাধীর উল্লেখযোগ্য কারণই এ উদাসিনতা। এব্যাপারে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে, পাশাপাশি স্যানিটেশন ব্যবসায়ীদেরকেও এ কাজে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ কারার মাহমুদা পারভীন বলেন, আজকের এই নাটক ও আলোচনার মাধ্যমে যে ম্যাসেজগুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ করা গেল তা আমাদের সুস্থ -সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং উন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার ও তা রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত এ বিষয়গুলো নিজেদের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে এবং পারিবারি ও সামাজিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি দর্শকশ্রোতাদের বিশেষ করে অত্র কলেজের তরুণ-তরুণীদেরকে অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং হাত ধোয়ার সময় ও কৌশলগুলো যারা সঠিক ভাবে বলতে পেরেছেন সেসব তরুণ-তরুণীর মধ্যে পুরস্কার স্বরূপ সাবান বিতরণ করা হয়।