বিশেষ প্রতিনিধি ।।
অষ্টগ্রামে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগে গত সোমবার (৬ মে ২০১৯) উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চুর রিকশা গ্যারেজ পরিদর্শন করেছেন জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের বাগেরহাটি (কুতুব মসজিদের পাশে) গ্রামে
অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী (বাচ্চু)’র রিকশা গ্যারেজ গত সোমবার (৬ মে ২০১৯) পরিদর্শন করেন কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কটিয়াদী জোনাল অফিস প্রধান আব্দুল লতিফ (ডিজিএম), একজন এজিএম ও পল্লী বিদ্যুতের বিভিন্ন প্রতিনিধি নিয়ে জিএম-এর নির্দেশে। সে সময়ে তারা ঘটনার সত্যতা পান।
পরিদর্শনে আসা ডিজিএম’র সাথে কথা হলে তিনি জানান, “দীর্ঘদিন যাবত বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য একটি মিটার রয়েছে এবং এর বিলও তিনি নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন। তাঁর নামে বরাদ্দকৃত মিটারটি ব্যবহার করা হচ্ছে অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ দেয়ার জন্য। তবে, চার্জ দেয়ার জন্য যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি বাইপাস লাইন করে ব্যবহার হচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যবহার হলেও মিটারে প্রদর্শিত হয় না। সে হিসাবে এই মিটারে প্রদর্শিত বিল তিনি পরিশোধ করছেন ঠিকই কিন্তু মিটারের বাইরে থেকে ব্যাটারিগুলো যে চার্জ করা হচ্ছে সেগুলোর টাকা অন্য কোথাও অন্য কারও পকেট ভারি করছে।
বিদ্যুৎ সংযোগটি যেখানে এসে মিটারে যোগ হয়েছে ঠিক তার পূর্বের জায়গা থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। যাতে মিটারে বিল আসে আংশিক ও বাকিটুকু সরকারকে ফাঁকি দেয়া। তাতে তিনি ফুলে ফেঁপে উঠেছেন।
এই বিষয়ে কথা হয়, কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম-এর সঙ্গে। তিনি জানান, অষ্টগ্রাম অঞ্চলটি কটিয়াদী জোনাল অফিসের তত্ত্বাবধানে হওয়ায় ওখানকার ডিজিএম বিষয়টির প্রাথমিক খোঁজখবর নেন এবং লিখিতভাবে আমাকে জানান। আমরা দু’একদিনের মধ্যে নতুন আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং বিদ্যুৎ বিভাগের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চুর সাথে কথা বলতে তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।