মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি ।।
প্রতি বছরের মতো এবছরও ঐতিহাসিক মহাস্থান গড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবারের ওরস/ জটাধারী গঞ্জিকাসেবী ও বাউলদের মেলন মেলা। বেশ কয়েকদিন আগে থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জটাধারী, গঞ্জিকাসেবী, বাউলরা মহাস্থান মাজার এলাকাসহ বোরহান উদ্দিন মাজার, মেহগনী বাগান, পাথর পট্টি, মানখালি ও বিভিন্ন বাড়ি ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে।
ব্যবসায়ীগণ গোটা মহাস্থান জুড়ে সুবিধা মতো স্থানে অস্থায়ী দোকান সাজিয়ে বসেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এবার ৪৫০ জন পুলিশ ২শ’ জন স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন ছিল। গোটা মাজার এলাকা ডেকোরেশন করে রঙ্গিন সাজে সাজানো হয়েছিল। কিন্তু রমজান মাস হওয়ার কারণে অন্য বারের তুলনায় সকাল থেকে লোকসমাগম কম থাকায় কর্তব্যরত পুলিশদেরকে বিভিন্ন স্থানে অলস সময় পার করতে দেখা যায়।
দুপুরের পর থেকে লোকজন দল বেঁধে আসতে শুরু করে। রমজানের কারণে এবার মাজার মসজিদে সারাক্ষণ বয়ান হয়নি। আছরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত বয়ান হওয়ার পর আবারো তারাবী নামাজ পর বয়ান হয়েছে। আছর নামাজ পর মাজার ভক্ত পাগলগণ একসঙ্গে মাজার প্রাঙ্গনে এসে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মাজারে ভক্তি প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বাউলগন নারী-পুরুষ একসঙ্গে নেচে-গেয়ে বাউল গান গেয়ে রাত কাটিয়ে দেয়। বেরসিক পুলিশের চাপে জটাধারী গঞ্জিকা সেবীগণ মাজার চত্তর ছেড়ে মেহগনী বাগান, বোরহান উদ্দীন মাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গোপন স্থানে গিয়ে গঞ্জিকা সেবন করে বছরের এই দিন পালন করে।
এবার রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় রাত্রি যাপনে কোনো অসুবিধা হয়নি। রমজান মাসে বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার হওয়ায় এবার মহাস্থানের তবারক কটকটি বিক্রয় কম হয়েছে বলে কটকটি ব্যবসায়ীরা জানান। সব মিলে এবারের বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবারের মহাস্থানের মেলা শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে।