হুমায়ুন কবির, পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া বাজারের বনিক সমিতির সদস্য পাকুন্দিয়া বাজারের চা বিক্রেতা হতদরিদ্র মো: মফিজ মিয়া গত ১ মে রাতে ইসলাম ধর্মকে কটুক্তি করলে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়ে পাকুন্দিয়া থানার পুলিশে দিলে ২ মে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মুখলেছুর রহমান তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
গত বৃহস্পতিবার স্বজনরা জেল গেটে দেখা করতে গেলে মফিজ তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং পরিবারের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন তার ঘরে যত ধর্মবিরোধী বস্তু আছে তা জনসম্মুখে নষ্ট করে ফেলতে; যেন তার মতো কোনো ব্যক্তি গুমরাহ ধর্মব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে এরকম ভুল আর না করে। সেই সাথে মফিজ মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করে ধর্মপ্রাণ মুসলিম ওম্মাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থী।
মফিজের ছোট ভাই মো: হাকিম নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে উপজেলার বিশিষ্ট মুরব্বিদের হাতে হাত রেখে তাওবা করেন এবং সুন্দরভাবে চলাফেরা করার জন্য সকলের কাছে দোয়া চান। এরই ধারাবাহিতায় শুক্রবার (১৭ মে ২০১৯) বাদ জুম্মা পাকুন্দিয়া বাজার বনিক সমিতি কার্যালয়ে মফিজের স্ত্রী-সন্তান এসে সুন্দরভাবে চলার জন্য চায়ের দোকান পরিচালনার অনুমতি চাইলে পাকুন্দিয়া পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার মো: সুজন, পাকুন্দিয়া বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম সাগর, দপ্তর সম্পাদক মো: আল আমিন, কার্যকরী সদস্য কাজল, পাকুন্দিয়া বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাওলানা সোলায়মান, বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: কামাল শেখসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে মফিজের মেয়ে, স্ত্রী, ভাই সহ সকলে মিলে ধর্মবিরোধী বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করেন। এবং বাজারে সুন্দরভাবে ব্যবসা করার জন্য দোয়া চান।