আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
ভৈরবে চুরি করা ১০টি গরু বিক্রি করতে এসে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে ১০ গরু চোর। এ সময় গরু বোঝাই নৌকাটিও জব্দ করে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে ২০১৯) ভোর সাড়ে ৪টায় ভৈরব উপজেলার আগানগর গ্রামের ডিগচর এলাকার মেঘনা নদীতে একটি নৌকা থেকে তাদের আটক করে ভৈরব নৌ পুলিশ।
আটকরা হলেন, ভৈরবের চন্ডিবের এলাকার মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে শান্ত আহমেদ, একই এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে বিপুল মিয়া, চন্ডিবের এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া, আগানগর গ্রামের আ. মজিদের ছেলে মো. বেল্লাল মিয়া, মিঠামইন উপজেলার আটপাড়া গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে মো. হৃদয়, হবিগঞ্জ জেলার আজমিরী উপজেলার কামারপুর গ্রামের মৃত আ. আলীমের ছেলে নোমান উদ্দিন, অষ্টগ্রাম উপজেলার কাগজদিয়া গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া, সরাইল উপজেলার ডামোড়া গ্রামের জাবেদ মিয়ার ছেলে বরকতউল্লাহ, মিঠামইন উপজেলার বরকান্দা গ্রামের নয়েচ উদ্দিনের ছেলে ইলিয়াছ মিয়া ও ইটনা উপজেলার লাইমপাশা গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন। আটকরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ১০টায় ভৈরব ফেরিঘাট এলাকায় ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শক শামসুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভৈরবে মেঘনা নদীতে নিয়মিত টহল দেয়ার সময় ভোর রাতে সন্দেহজনকভাবে একটি নৌকা দেখতে পেয়ে নৌকাটিকে অনুসরণ করলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আটকরা। পরে পুলিশ নৌকাটিকে ধাওয়া করে আটক করে। আটককৃত নৌকা থেকে ১০টি গরু ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১০ জনকে আটক করে ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। আটকরা কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের জনশাই হাওর থেকে গরু চুরি করে ভৈরবে বিক্রির জন্য নৌকায় করে নিয়ে আসছিল।
ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফজলুল হক বলেন, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। যেহেতু চুরির গরুর মালিকের বাড়ি অষ্টগ্রাম থানায় সেহেতু এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র : জাগো নিউজ