ভাটি বরাটিয়ার হত্যা মামলায় ৮ জন গ্রেফতার

সাফায়াত ইসলাম নূরুল, নিজস্ব প্রতিনিধি ।।

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা সিংপুর ইউনিয়নের ভাটি বরাটিয়ায় ছোটদের ফুটবল খেলা নিয়ে ঝগড়ায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। নিহত খোকন উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ভাটি বরাটিয়া সিরাজের হাটি গ্রামের মনছুর আলী দয়ালের পুত্র। ঘাতক জসিম উদ্দিন একই গ্রামের মোঃ তাহের উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় নিহত খোকনের বড় ভাই রতন মিয়া বাদি হয়ে ২১ জনের নাম ও অজ্ঞাত ৪/৫জন উল্লেখ করে সোমবার (২৭ মে) নিকলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি আবু তাহেরের (৬৫) পুত্রবধূ সেলিনা (৩০), রুৎফুন্নেছা (৩৫), রোজিনা (৩০), আঞ্জুমান নাহার (৩০), শরমিন (২৩), ইয়াছিন মিয়া (২২), মোশারব (৩২) ও লিটন মিয়া (৪৫) নামে ৮ ব্যক্তিকে আটক করেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত খোকন মিয়া গত রোববার বিকালে মাঠে ছোটদের ফুটবল খেলা দেখতে যান। এ সময় খেলা নিয়ে ছোটদের মাঝে তর্ক-বিতর্ক হয়। ছোটদের এই তর্ক-বিতর্কের বিষয়টি খোকন মিয়া সমাধান করে দেন। পরক্ষণে জসিম উদ্দিন পূর্ব আক্রোশের জেরে খোকন মিয়াকে কপালে, বুকেসহ একাধিক গুলি করে গুরুতর আহত করেন। পরে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে খোকনের মৃত্যু হয়।

একই সময় জসিম উদ্দিনের ছোটভাই ওয়াসিম গুলি করে নিহত খোকনের ছোটভাই আফজাল মিয়াকে (২৫)। তার দুই পায়ে ৪টি গুলি নিয়ে বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

খবর পেয়ে নিকলী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ প্রেরণ করে। বিভিন্ন সূত্র মতে, এলাকার নানা অপকর্মের হোতা জসিম। এ হেন কাজ নেই যা তার নখদর্পনে। ভয়ঙ্কর চরিত্রের জন্য এলাকায় “টাইগার জসিম” নামে সে পরিচিত এক আতঙ্কের নাম।

আটককৃতদের মধ্যে লিটন মিয়া নিকলী-বাজিতপুরের সাবেক সাংসদ আমির উদ্দিন আহম্মদের আপন ভাতিজা ও নিকলী সদরের নগর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র। মামলার প্রধান আসামি আবু তাহেরের একটি ফিসারির লীজ গ্রহীতা। ফিসারি দেখাশোনার সুবাদে তিনি ভাটি বরাটিয়ায় প্রায়শই অবস্থান করতেন।

নিকলী থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন ভূইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিৎ করে জানান, ঘটনাস্থলের কাছে লিটন মিয়াকে পাওয়ায় এবং বাদির জবানির ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত সকলকে সোমবার কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Similar Posts

error: Content is protected !!