ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।
নওগাাঁর ধামইরহাট-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কটির সংস্কার হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্পবৃষ্টি ও কাদাপানিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে নামমাত্র ইট-বালি দিয়ে যেন-তেন ভাবে গোঁজামিল দেন মাত্র। এ অবস্থায় জয়পুরহাট-ধামইরহাট-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কটির বেহাল দশায় চরম বিপাকে জনদুর্ভোগ।
২/৩ বছরে পূর্বে এই এলাকায় বড় বন্যায় রাস্তার কার্পেটিং নষ্ট হয়ে ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় যানবাহন চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি। এই রাস্তা দুর্ভোগকে নিত্যদিনের সাথীকরে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পূর্ববাজার হাজী মার্কেটের সামনে থেকে ন্যাশনাল ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত রাস্তার এক পাশের পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকার কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা তৈরী হয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কটির বেহাল অবস্থা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মার্কেট ব্যবসায়ীরা জানান, রাস্তার এমন বেহাল দশা এবং দোকানের সামনে এমন জলাবদ্ধতার কারনে মালামাল পার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি। প্রতিদিন ১৫/২০ টি ট্রাক এখানে আটকা পড়ে, লেগে যায় যানজট। যে কোন সময় আরো বড় ধরনের বিপদ হতে পারে সে জন্য ড্রেন ব্যবস্থা ও রাস্তার সংস্কার হলে সবার ভালো হবে বলে আশা রাখেন।
হাজী মার্কেট এর মালিক মো. রেজাউল করিম বলেন, খাড়ি ভরাট হবার কারণে বাজারের সমস্ত পানি আমার জমির উপরে আটকা পরে, খুব শীঘ্রই এখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করলে রাস্তাটিকে টিকিয়ে রাখা যাবে না।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আলী হোসেন বলেন, ধামইরহাট পূর্ব বাজারের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংস্কার সড়ক ও পথেরই করার দায়িত্ব।
সড়ক ও জনপথ নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংসদ মহোদয় অনেক আগেই আমাকে অবগত করেছেন, রাস্তাটি টেন্ডার সম্পূর্ণ হয়েছে অতি শ্রীঘ্রই সংস্কার কাজ ও রাস্তাটি পুনরায় কার্পেটিং শুরু হবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত সমাধান কামনা করেছেন।