আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
ভৈরব উপজেলায় ফারদিন আলম রূপক (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর গলাকাটা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের তিন সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩১ মে ২০১৯) দুপুরে উপজেলার ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকার একটি পাকা বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রূপক নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার গৌরিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের নূরে আলম বিপ্লবের ছেলে। সে ভৈরব কে বি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাস করেছে। তার বাবা নূরে আলম ভৈরব বাজারে একটি সিমেন্ট কোম্পানির ডিলার এবং সপরিবারে ভৈরব বাজারে বসবাস করেন।
আটকরা হলো- ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়ার মৃত কামাল মিয়ার ছেলে রাব্বি (১৭), একই এলাকার শাজাহান পাটোয়ারীর ছেলে আরাফাত পাটোয়ারী (১৬) ও ভৈরব রাণীবাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ওবায়দুল কবির খা’র ছেলে রেজাউল কবির খা (১৬)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩০ মে ২০১৯) রাতে তারাবীহ নামাজ পড়তে বের হয় রূপক। পরে আর বাসায় না ফিরলে তার বাবা পরদিন সকালে (শুক্রবার) ভৈরব থানায় এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ভৈরব র্যাব কার্যালয়ে বিষয়টি জানান।
এদিকে দুপুরের দিকে একটি বাসা থেকে ফোন কল পেয়ে পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে রূপকের গলাকাটা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহত রূপকের তিন সহপাঠীকে আটক করে পুলিশ।
ভৈরব থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) বাহালুল খান বাহার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র : বাংলানিউজ