আজিজুল হক বিপুল, মহাস্থান (বগুড়া) ।।
মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ইতিমধ্যে বগুড়ার মহাস্থানে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটার ধুম। অভিজাত বিপণি বিতান, মহাস্থান আকবিয়া মার্কেট মালেকা ও হাইস্কুল মার্কেট থেকে ফুটপাত পর্যন্ত সর্বত্র ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। বিশেষ করে নারী ক্রেতাদের ভীড় লক্ষণীয়।
ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মার্কেটগুলোতে পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পোশাকের দোকানগুলোতে বাহারি রং ও নানান ডিজাইনের ছোঁয়া। তবে ভারতীয় সিরিয়ালের বিভিন্ন চরিত্রের নামে পোশাকের কদর এবার সবচেয়ে কম। গতবছরে এ মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে স্টার জলসায় প্রচারিত বোঝে না সে বোঝে না সিরিয়ালের নায়িকা পাখির নামে প্রবর্তিত পোশাকের জ্বরে ভুগছিলেন নারীরা।
কিশোরী ও তরুণীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল পাখি থ্রি-পিস ও ফ্রক কিনতে। এবার ভারতীয় পোশাকের তেমন আলোচ্য নেই। তারপরেও মার্কেটের ভিতরে ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। স্বাচ্ছন্দ্যে কেউ নিজের জন্য, কেউবা আত্মীয় স্বজনদের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত। শুধু তৈরী পোশাক বা শাড়ি-কাপড়ই নয়, সঙ্গে ম্যাচিং করে জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে কসমেটিকস আর জুতার দোকানগুলোতেও এখন ক্রেতাদের ভীড় লক্ষণীয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিন-রাত চলছে কেনাবেচা। নারী, শিশু, কিশোর, কিশোরীসহ সব বয়সের মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মহাস্থানগড়ের প্রতিটি মার্কেট। এবারের ঈদে কাতান, বেনারসি, তাঁতের শাড়ি, বুটিকের থ্রিপিস, নতুন রেডিমেড জামা-পায়জামা, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্টের বেশি চাহিদা রয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কাপড়-জুতা দু’টির দামই অত্যন্ত বেশি বলে দাবি করেছেন ক্রেতারা। অনেকেই বলেছেন, দামের কারণে এ বছর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের কেনাকাটা করা বেশ কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
এদিকে এবার ঈদে প্রান্তিক কৃষক পরিবারদের কেনাকাটা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে একাধিক কৃষক পরিবার জানিয়েছেন। কৃষকদের ভাষ্য তারা ঋণ নিয়ে ধান চাষাবাদ করে সৌখিন ধান উৎপাদন করে ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ঋণের বোঝা টানতেই তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে। তাই পরিবারের চাহিদা মত তারা ঈদের কেনাকাটা করতে পারছেন না।