মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
হাটহাজারীতে মেয়েজামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (২৩ জুন ২০১৯) রাত সোয়া দশটার দিকে পৌর এলাকার মাটিয়া মসজিদ নামক স্থানে এ ঘটনা সংগঠিত হয়। নিহত শ্বশুর আবদুল হাকিম নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাটিয়া মসজিদ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন পরিবার ও মেয়েজামাই নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে তারা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে সুখে সংসার চালিয়ে আসছে। হঠাৎ মেয়েজামাইর সাথে শ্বশুর-শাশুড়ির ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়।
এদিকে স্থানীয় জনতা ঘাতক স্বামী মোঃ সুজনকে (২৪) আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘাতক সুজন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার কলাভাংগা ইন্তা মিয়া বাড়ির জামিল উদ্দিনের ছেলে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, নিহত আবদুল হাকিমের স্ত্রী ও মেয়ের সাথে পারিবারিক কলহ জের ধরে একাধিকবার ঝগড়া হতো। তার মধ্যে একে অপরের সাথে হাতাহাতি মারধরের ঘটনা পর্যন্ত ঘটে যেত। সংসারের খুটিনাটি বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি যেন লেগেই থাকতো। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতেও শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শ্বশুরকে জামাই সুজন ছুরি দিয়ে বুকের মধ্যে উপর্যুপরি আঘাত করে। লুটিয়ে পড়লে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাদি হয়ে নিহত আবদুল হাকিমের পুত্র এমদাদুল হক ঘাতক সুজনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা রুজু করেছেন।
হাটহাজারী মডেল থানার (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর প্রতিবেদককে জানান, সুজন নামের এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত সুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।