নিকলীর সেই পানিবন্দি বিদ্যালয়ের রাস্তা গড়ে দিলেন ইউএনও

খাইরুল মোমেন স্বপন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।

গত ১৮ জুন “আমাদের নিকলী ডটকম“-এ “ওদের স্কুলে যেতে নিষেধ!” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ধ্বসে যাওয়া রাস্তাটি ত্বরিৎ চলাচল উপযোগী করে দিয়েছেন নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পশ্চিম নিকলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রাস্তাটি শত শত বস্তা ফেলে চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। মজবুতের জন্য রাস্তাটির দু’পাশে দেয়া হয়েছে বাঁশের ঘন খুঁটি। আগের মতোই বিদ্যালয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থিরা।

এ প্রতিনিধিকে দেখে এগিয়ে আসেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলীসহ অপরাপর শিক্ষকবৃন্দ। নিকলী উপজেলাকেন্দ্রিক প্রথম অনলাইন সংবাদমাধ্যম “আমাদের নিকলী ডটকম“-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারা জানান, সংবাদটি প্রকাশের পরদিনই পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। পরিদর্শন করে যাওয়ার পরদিনই রাস্তার কাজ শুরু হয়। বিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে ইউএনও মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তারা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশেও ভুল করেননি।

মো. স্বাধীন মিয়াসহ একাধিক শিক্ষার্থির অভিভাবক ও এলাকাবাসী বলেন, ইউএনও মহোদয়ের প্রতি আমাদের আস্থা শতগুণ বেড়ে গেছে। এমন দ্রুত কাজ হতে এই প্রথম দেখলাম। আমরা উনাকে ভুলতে পারবো না।

নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, পানিবন্দি বিদ্যালয়টির দুরাবস্থার কথা শোনামাত্রই পরিদর্শনে যাই। এটি এলজিইডির করা সড়ক। দু’পাশেই পুকুর থাকায় পরীক্ষামূলক ব্লক নির্মিত সড়কটিতে ধ্বস নামে। ব্লক পদ্ধতির বদলে পাকাকরণেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। চলমান সমস্যা দূরীকরণে সাময়িকভাবে বস্তা ও মাটি দিয়ে সড়কটি গড়ে দিয়েছি।

উল্লেখ্য, নিকলী উপজেলা পরিষদ থেকে পল্লীবিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্র হয়ে নিকলী থানা ও পুরাতন বাজারে সংযুক্ত সড়কটি ২০১৭ সালে নির্মাণ করে এলজিইডির হিলিপ প্রকল্প। পরীক্ষামূলক ব্লক পদ্ধতিতে করা সড়কটির পাশেই পশ্চিম নিকলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিশু শিক্ষার্থিদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র পথও এটি। গত ঈদুল ফিতরের একদিন আগে থেকে ক্রমাগত বৃষ্টিতে প্রায় ১শ’ গজ সড়কে ধ্বস নামে। পানিতে তলিয়ে যায়। বুকপানি ভেঙ্গে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছিল শিশু শিক্ষার্থিদের। এছাড়াও নিকলীর পশ্চিম এলাকার স্কুল-কলেজগামী সহস্রাধিক শিক্ষার্থিসহ এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছিলো সড়কটি। ১৮ জুন “আমাদের নিকলী ডটকম” অনলাইনে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হলে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নেন নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

Similar Posts

error: Content is protected !!