আলিয়াপাড়ায় গাছের জন্য পথচারী চলাচলে বিঘ্ন!

মো: হেলাল উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।

“না পারি গিলতে না, পারি ফেলতে”- এমন এক অবস্থার জন্ম দিয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলাস্থ আলীয়াপাড়ার (পুরাতন) বাজারের মূল রাস্তায়। নরসুন্দা নদীর দক্ষিণ তীরে দামপাড়া ইউনিয়নের খাসকান্দা গ্রামটি নাম পরিবর্তন হয়ে আজকের আলীয়াপাড়া। এটি একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ উচ্চ। এ গ্রামের মানুষদের প্রচেষ্টায় হাট-বাজার গড়ে তুলেছে।

বাজারঘেঁষা এ বি নুরজাহান উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তরি-তরকারি, মাছ, শাক-সবজি সহ নানা ধরনের পণ্যের বেচাকেনা করে এলাকাবাসী। প্রায় ২০টি ছোট-বড় দোকান গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন মানুষের বাজারে আসা-যাওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তার উপরে জন্ম নেয়া একটি বটগাছ।

সূত্রে জানা যায়, বাজারের রাস্তার মাঝে এলাকাবাসীর কেউ গাছটি রোপন করেনি। এটি একটি আগাছা গাছ। প্রথম দিকে গাছ নিয়ে স্থানীয়রা এতটা কল্পনা করিনি যে গাছটি এত বড় হয়ে যাবে এবং পথচারীদের বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে।

বাজার পরিদর্শনে গিয়ে কথা হয় ডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলীয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের সাথে। তিনি বলেন, এ রাস্তাটি বাজারের মূল রাস্তা। প্রতিদিন এ রাস্তায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এবং এলাকাবাসী যাতায়াত করতো। গাছটি মোটা হয়ে যাওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা মালামালের গাড়ি নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। এমনিকি গাছটির ডান-বাম দিক দিয়ে একজন মানুষ হেঁটে যেতে পারছে না। যেদিক দিয়ে যাবে মাথা গাছের সাথে লেগে যাবে।

বাজারের এক ব্যাবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ গাছটি কাটার জন্য কয়েকবার উপজেলা প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। অথচ প্রতিদিন এ অঞ্চলের মানুষ এ গাছের বোঝা বইতে হচ্ছে। গাছটির জন্য বাজারে এ গলির দোকানগুলোর ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। বাতাস হলে ভেঙে পড়তে পারে গাছের ডালপালা দোকানপাটের উপর। যদি গাছটি কেটে ফেলা হয় তবে আমাদের স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীসহ বাজারের পথচারীরা রাস্তা না ঘুরে সহজে বাজারে এবং শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে।

গাছটি নিয়ে মুঠোফোনে কথা হয় দামপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহেরের সাথে। তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গাছটি কেটে রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি। এমনকি কয়েকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাজার পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কেউ গাছটি কাটার বিষয়ে আগ্রহ দেখাননি।

এলাকাবাসীর দাবি গাছটি কেটে যাতে বাজারে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়। যদি গাছ কেটে ফেলা হয় তবে বাজার আরো উন্নয়নের দিকে অগ্রগতি হবে। বৃদ্ধি পাবে ব্যবসা-বাণিজ্য। অন্য এলাকার লোকজন এ হাটে স্থায়ীভাবে ব্যবসা করতে আসবে। সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে পারে সরকারের রেভিনিউ আয়। রাস্তায় গাছ না থাকলে এলাকার জনসাধারণ বাজারে যে কোনো সময় তাদের মালামাল আনা-নেয়া করতে পারবে।

Similar Posts

error: Content is protected !!