ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।
সারা দেশের পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা, পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধাদি রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে প্রদানের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে পৌরসভাগুলোতে। ধামইরহাট পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পৌরবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। ময়লা আবর্জনা না সরানোর ফলে রাস্তা এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এক্ষুণি এ অচলাবস্থায় অবসান না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
জানা গেছে, ধামইরহাট পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের দাবি-দাওয়া পূরণের লক্ষে গত ১৪ জুলাই থেকে পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে ঢাকায় গিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে পৌরসভার সকল কক্ষে তালা ঝুলছে। পৌরবাসী তাদের বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনীয় কাজের জন্য পৌরসভায় এলেও তাদেরকে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। পৌরসভায় রোড লাইট গত তিন দিন ধরে দিনরাত সমানভাবে চলছে। রাস্তার ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করার ফলে রাস্তা যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ড্রেনের আবর্জনা না সরানোর ফলে এখন বর্ষার পানি রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে রাস্তা ড্রেন একাকার হয়ে পড়েছে।
ধামইরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দুলালী বেগম (৬৮) বলেন, তার বয়স্ক ভাতার কাগজ নেয়ার জন্য পৌরসভায় এলেও কাগজ না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। ধামইরহাট বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মো. রেজাউল করিম সরকার ট্রেড লাইসেন্সের জন্য দিনের পর দিন ধরনা দিলেও ট্রেড লাইসেন্স পাননি। মঙ্গলকোঠা গ্রামের গৃহবধূ তানজিলা বেগম একটি নাগরিক সনদের জন্য তিন দিন ধরে ঘুরছেন। কিন্তু পৌর ভবনে কেউ নেই। পৌরসভার ঠিকাদার সেলিম মাহমুদ রাজু তার কাজের বিল উত্তোলনের জন্য তিনি প্রায় প্রতিদিনই ঘুরছেন কিন্তু কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তিনি বিল পাচ্ছেন না। ধামইরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদের পূর্ব পাশের বাসিন্দা কামরুজ্জামান বাদল বলেন, তার বাড়ির সামনে রাস্তা এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে বাড়িতে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় বলেন, যেহেতু সারা দেশে পৌরসভাগুলোতে ধর্মঘট চলছে। তারপর মেয়র না থাকায় প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে তার কথা হয়েছে। আশা করছেন ২/১ দিনের মধ্যে তারা কাজে যোগদান করবেন।