ধামইরহাটে মাদ্রাসার জমি জবরদখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।

নওগাঁর ধামইরহাটে রুপনারায়ণপুর ও কোকিল সম্মিলিত আলিম মাদ্রাসার জমি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আবু হানিফ ও জমিদাতা আবির উদ্দীন মণ্ডল।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোকিল গ্রামের পিতা মৃত আলেক মণ্ডলের ছেলে মো. আবির উদ্দীন বহু বছর আগে রুপনারায়ণপুর শল্পী মাদ্রাসায় এককালীন ১০ কাঠা জমি দান করে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন। পরে ওই জমি রুপনারায়ণপুর (শল্পী) গ্রামের পিতা মৃত কেরু মণ্ডলের ছেলে মো. মোসলেম উদ্দীনকে জমি লীজ দিয়ে দেখাশোনার দায়িত্ব দিলে মোসলেম উদ্দীন অসৎ উপায় অবলম্বন করে উক্ত জমিতে পাকা বাড়ি নির্মাণ করেন। এ বিষয়ে জানাজানি হলে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও কারো কথাকে মান্য না করে নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোসলেম উদ্দিন জানান, আজ থেকে ৩৬ বছর আগে মাদ্রাসার জমি আমি জনৈক মোস্তফার কাছ থেকে তৎকালীন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অবগত করে ক্রয় করেছি এবং কয়সের মিষ্টিআলা ওই জমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে থেকে কিছু টাকা দিয়ে নিয়ে মোস্তফার কাছে বিক্রি করেছিল। আমি সেই জমি মোস্তফার নিকট থেকে ৭ হাজার ৫শ’ টাকায় ক্রয় করলেও কোন দলিল সম্পাদন হয়নি বলে স্বীকার করেন। মাদ্রাসার জমি দলিল ছাড়া কেন দখল করে আছে, এমন প্রশ্নের কোন উত্তর মোসলেম উদ্দিন দিতে পারেননি।

বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু হানিফ বলেন, কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়া মোসলেম জমি জোর পূর্বক জবরদখল করে বাড়ি স্থাপনা করেছেন। এটা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রতিবেশি ও সাক্ষী হিসেবে পিতা মৃত রমজান আলীর ছেলে মো. তোফায়েল আলী বলেন, এই জমির জন্য আমি থানা ও ইউএনও অফিসে গিয়েছি জমির মালিক নিজেকে দাবী করলেও মোসলেম জমির দলিল দেখাতে পারেননি।

ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় বলেন, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জমি কেউ দলিল ছাড়া দখল করলেই সে মালিক হতে পারে না, কাগজপত্রে যিনি সঠিক থাকবেন, তিনিই প্রকৃত জমির মালিক হবেন।

Similar Posts

error: Content is protected !!