মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি ।।
বগুড়া সদরের গোকুল পশ্চিমপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের পুত্র মিজানুর রহমান লিটন। গরীব পরিবারের একজন মেধাবী মুখ। অনেক কষ্টে লেখাপড়া চালিয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক (বিশ্ববিদ্যালয়) কলেজ হতে মাস্টার্স শেষ করে ব্র্যাকে ক্রেডিট অফিসার (প্রগতি) পদে কর্মরত। কর্ম এলাকা মঠখোলা শাখা, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ। চাকরির বয়স দুই বছর।
ভালোই চলছিল। বেতনও মোটামুটি ভাল। তার মাধ্যমেই পরিবারে কেবলই স্বচ্ছলতা আসতে শুরু করেছে। চোখ মুখে রঙ্গিন স্বপ্ন। তাকে নিয়ে পরিবারে অনেক প্রত্যাশা। কিন্তু গত ৪ মাস আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনা তার ও পরিবারের স্বপ্নকে যেন ভেঙ্গে চুরমার কর দিল।
কর্ম এলাকায় লিটন মটরসাইকেলযোগে সহকর্মীকে নিয়ে অফিসের কাজে বের হচ্ছিল। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার আগেই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বড় ভটভটি তার মটর সাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথেই সহকর্মীসহ ছিঁটকে পড়ে লিটন। সহকর্মীর তেমন কিছু না হলেও লিটন গুরুতর আহত হন। মাথা, মুখে আঘাত পাওয়ার পাশাপাশি ভেঙ্গে যায় তার একটি পা।
প্রায় ৩ মাস ধরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলে। কিন্তু তার পায়ের চিকিৎসায় তেমন উন্নতি না হলে সেখান থেকে ভর্তি হয় টিএমএসএস মেডিকেল হাসপাতালে। সেখানেও অপারেশনসহ চিকিৎসা চলে প্রায় এক মাস। কিন্তু ফলাফল একই। দিন দিন অবনতি হতে থাকে। চরম হতাশায় নিমজ্জিত লিটন ও তার পরিবার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এই ভেবে, না জানি শেষে পা-টাই না হারাতে হয়!
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত বারী ইলিজারব অর্থোপেডিক সেন্টার, লালমাটিয়া, ঢাকায় নেয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা ব্যয় অনেক ব্যয়বহুল। কিন্তু বর্তমানে পরিবারের আর্থিক যে অবস্থা তাতে চিকিৎসা করানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় তার প্রতিষ্ঠান (ব্র্যাক), সহকর্মী এবং শুভানুধ্যায়ী এবং সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের নিকট হতে চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: মো. মিজানুর রহমান লিটন, পিতা: রেজাউল করিম, মাতা- দৌলতুনেছা, গ্রাম- গোকুল পশ্চিমপাড়া, উপজেলা- বগুড়া সদর, জেলা- বগুড়া। বিকাশ নং ০১৭১১-৭১৩২৪৮