মহসিন সাদেক, লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ।।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মোট ৬টি ইউনিয়নে প্রায় কয়েক সহস্রাধিক পশু কুরবানী করেছেন সামর্থ্যবান ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ। বিগত বছরগুলোতে ঈদুল আজহার মৌসুমে কুরবানীকৃত পশুর শরীর থেকে চামড়া ছাড়ানোর আগেই চামড়া ক্রেতারা দরদাম করতে কোরবানীদাতার বাড়িতে যেতেন। সেই সময় নামমাত্র সূল্যে পশুর চামড়া বিক্রি হলেও এ বছরের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।
দিন শেষে দুপুর গড়িয়ে গেলেও দেখা নেই চামড়া ক্রেতার। এতে করে বাড়ির আঙ্গিনার এক কোণে অচল পয়সার মতো ফেলে রাখতে হয়েছে এক সময়ের কোরবানীর গুরুত্বপূর্ণ ও দামী অংশ চামড়া।
শেষ বিকেলে যখন ক্রেতার ক্রেতার দেখা মিলল তখন চামড়ার মূল্যে সর্বোচ্চ ১শ’ টাকা বলেই উধাও ক্রেতা। ঢাকায় বাইরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে যেখানে গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৩৫-৪০ টাকা সেখানে লাখ টাকার গরুর চামড়া ১শ’ টাকা! অনেকটা যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়া। সরেজমিনে উপজেলার সবখানেই চামড়া মূল্যে একই রকম দেখা যায়।
কুরবানীদাতা হারিছ আহম্মদ তালুকদার জানান, গত ২৫-৩০ বছরের ভেতর চামড়ার এই রকম দরপতন কোনো সময় দেখিনি। এত অল্প মূল্যে বিক্রির চেয়ে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলাই ভালো।
অপর কোরবানীদাতা উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল কাদিরসহ বেশ কয়েকজন কোরবানীদাতা ক্ষোভে কুরবানীর চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেন।