মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের গুমানমর্দ্দন, নাঙলমোড়া জনগুরুত্বপূর্ণ ডিসি সড়কের বেহালদশা। প্রায় দেড় কি.মি’র বেশী সড়কের বুকে গর্তের সৃষ্টি। ডোবা পুকুরে পরিণত হয়ে এ সড়কের বেহাল দশা। দেখার কেউ নেই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাটহাজারী-নাজিরহাট মহাসড়কের সরকারহাট থেকে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার পূর্ব দিকে মির্জাপুর, গুমানমর্দ্দন, নাঙ্গলমোড়া সংযোগ হয়ে এ সড়ক। এ সড়কটি এ উপজেলা থেকে শুরু হলে ও পার্শ্ববর্তী দুই উপজেলা রাউজান এবং ফটিকছড়ির হালদার অপর প্রান্তের সম্মুখস্থলে গিয়ে শেষ হয়। যার কারণে এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তিনটি উপজেলার হাজারও মানুষের যাতায়াত হওয়ার কারণে সড়কটি খুবই ব্যস্ততম একটি সড়কে পরিণত হয়েছে। এ সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সৃষ্ট বন্যার পানি এবং পাহাড়ি ঢলে এ সড়কটির উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট বন্যা ও পাহাড়ি ঢল এবং সড়কের উত্তর পাশে অবস্থিত কুমারী খাল ভাঙ্গার কারণে অল্প বৃষ্টিতে মির্জাপুর অংশের সরকার দিঘীর পশ্চিম অংশ এবং গুমানমর্দ্দন অংশের বালুখালি রাস্তার সম্মুখসহ বেশকিছু অংশ সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। সড়ক এর উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়কের প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক খানা-খন্দে ভরা। এ খানা-খন্দগুলো সামান্য বৃষ্টির পানিতে পুকুরে পরিণত হয়ে মৎস্য চাষের উপযোগী হয়ে পড়ে। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে বিশ হাজারের অধিক মানুষ। অসুস্থ মানুষকে নেয়া দূরের কথা সুস্থ-সবল মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
নাঙ্গলমোড়া ডিসি সড়ক সিএনজিচালক সমিতির সভাপতি মোঃ আলম প্রকাশ বাশি আলম এর সাথে কথা বলে জানা যায়, এ সড়কের এমন করুণ অবস্থা যে, এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যে গাড়িটি চলাচল করবে সে গাড়িটি এক সপ্তাহ পর মেরামতের জন্য গ্যারেজে দিতে হয়। কিন্তু মানুষের যাতায়াতের সেবার লক্ষে আমাদের গাড়ি চালাতে হয়। সড়কটি দ্রুত মেরামত চাই।
গুমানমর্দ্দন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, কুমারী খালের পাশ থেকে কিছু অসাধু ব্যাক্তি মাটির ব্যবসা করছে এই মাটির গর্তগুলো ভরাট হওয়ার জন্যে খালটা কেটে দেওয়ার কারণে ডিসি সড়কের উপর অল্প বৃষ্টিতে পানি প্রবাহিত হয়। ঈদুল ফিতরের আগে সড়কটির খানা-খন্দগুলো ইট দিয়ে রুলারের সাহায্যে ভরাট করে দিলেও পানির প্রবাহমান স্রোতে সেগুলো তলিয়ে যায়। বর্তমানে সড়কটি টেন্ডারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ কামারুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, খুব শীঘ্রই এ সড়কের টেন্ডার হবে।তারপর জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।