মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মির্জাপুর হাশিমনগর উত্তর পাহাড়তলী আদর্শগ্রাম (২) আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় পাহাড়ী জায়গা দখল করে গৃহ নির্মাণের অভিযোগে তিনটি বসতঘর উচ্ছেদ করেছে উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট খীসা। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় মির্জাপুরের পশ্চিমে পাহাড়ী এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সহকারী ভূমি ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট খীসার সাথে থানার এএসআই কফিলউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাটহাজারী উপজেলায় অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন উপায়ে আশ্রয় নিচ্ছে। তন্মধ্যে গত কিছুদিন আগে ও পশ্চিম আলমপুরের হাওরা টিলাতে রোহিঙ্গা বসতি উচ্ছেদ করে উপজেলা প্রশাসন। এর পর থেকে কতজন রোহিঙ্গা বসবাস করছে তার একটি লিস্ট তৈরি করা হচ্ছে। হঠাৎ মির্জাপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পে পাহাড় কেটে নতুন তিনটি টিনসেটের গৃহনির্মাণের খবর পেলে সহকারী ভূমি কমিশনার ঘটনাস্থল গিয়ে সত্যতা যাচাই করে একজনকে রোহিঙ্গা বলে সনাক্ত করলেও অপরগুলো পালিয়ে যাওয়ায় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ সময় সরকারি খাস পাহাড় কেটে গৃহনির্মাণ করলে তিনটি ঘর উচ্ছেদ করে দেয়।
দখলকৃত জায়গার জসিম বলেন, আমার বাড়ি কক্সবাজার জেলায়। ৫/৬ বছর আগে এখানে এসেছি। বসবাস করার মত কোন জায়গা না থাকায় পাহাড়ে গৃহনির্মাণ করি পরিবার নিয়ে বসবাস করার জন্য।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট খীসা প্রতিকেদককে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরকারি জায়গা দখল ও পাহাড় কেটে গৃহনির্মাণের অভিযোগে তিনটি বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। একজনকে রোহিঙ্গা হিসেবে সনাক্ত করা গেলেও অপর দুইজন উপস্থিত না থাকায় তা সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে দখলকৃত ব্যক্তিদের কাল সকাল ১০টায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ পরিচয়পত্র নিয়ে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের নির্দেশে রোহিঙ্গা সনাক্ত করে তাদের ক্যাম্পে পাঠানোর জন্য প্রশাসন এ অভিযান অব্যাহত রাখবে।