মহিউদ্দিন লিটন, বাজিতপুর ।।
“নেত্রকোনার হৃদয় মায়ের কোলে উঠে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে পড়াশুনা করছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি একদিন মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী শিশু পাঠশালার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও হৃদয়ের মতো দেশের খ্যাতি অর্জন করবে”। কথাগুলো বলছিলেন মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী শিশু পাঠশালার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আর্থিক সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯) সকাল ১১টায় কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুরস্থ দেশখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আফতাবউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলে যাতায়তে অটোগাড়ি ক্রয়ে ৭০ হাজার টাকা মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী শিশু স্কুল ও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ম. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ার হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী করতালির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের এমন মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায়। স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের গর্ভানিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মো. মোস্তাফিজুর রহমান (মস্তু মিয়া), স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মশিউর রহমান, জেলা শিক্ষা গবেষণা কর্মকর্তা একেএম নাদিরুজ্জামান, জেলা সহকারী পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান ও মো. তবারক হোসেন, বাজিতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মনিরুজ্জামান।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কার্যকরী পরিচালক মো. সামসুর রহমান, আফতাব বহুমুখী ফার্ম লিমিটেডের জেনারেল ম্যনেজার মো. মাহবুব এ খোদা চৌধুরী, মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন ও পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া এবং পাঠশালার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা উপস্থিত শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকা হতে এই শিক্ষাবঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে নগদ অর্থ প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের এ সহায়তা দেশের সকল শিক্ষার্থীর কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানের দেশাত্মবোধক গান ও বাকপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আফছার ইশারা ভাষা প্রদর্শন সকলকে মুগ্ধ করে।
উল্লেখ, মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী শিশু পাঠশালায় বর্তমানে ১৩৫ জন প্রতিবন্ধী শিশু পড়াশুনা করছে। ১৮ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা বিগত ৪ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে যাচ্ছে। পাঠশালাটি জেলার প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলের মধ্যে একবার সেরা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি অর্জন করে।