মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি ।।
সবজি এলাকা বলে পরিচিত উত্তর বগুড়ার কৃষকরা এখন আগাম সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের উত্তর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সবজির হাট মহাস্থান হাট। আর এই সবজির হাটকে কেন্দ্র করে হাটের চারপাশে বগুড়া সদর উপজেলার লাহিরীপাড়া, শেখেরকোলা, গোকুল, নামুজা; শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর, মোকামতলা, দেউলী; গাবতলী উপজেলার কাগইল, সোনারায়, রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে প্রচুর সবজি চাষ হয়ে থাকে।
উত্তর বগুড়ার কৃষকরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। লাহিরীপাড়া ইউনিয়নের মধুমাঝিড়া গ্রমের কৃষক নজিম উদ্দিন জানান, আগাম সবজি চাষ করতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। তাই কপির চারা তৈরির কাজে সারা দিন পরিশ্রম করছি। আগাম লাউ চাষ করে ভালো দাম পাইছি।
একই এলাকার কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, আগাম পেঁপে চাষ করে ভালো দাম পাইছি। আবার আগাম মুলা লাগাইছি। কামলা সময় মতো পাওয়া যায় না। তাই অসুক শরীর নিয়ে একাই মুলার জমি নিরানী দিতে হচ্ছে।
কৃষক পলাশ ও সাইফুল জানান, আগাম সবজির ফলন একটু কম হলেও বেশি দামে বিক্রি করা যায়। আমাদের টমেটোর চারা হয়ে গেছে। এখন কপির চারা তৈরি নিয়ে ব্যস্ত আছি। আগাম সবজি চাষ করতে পারলে, এই জমিতে আবারো নতুন সবজি চাষ করা যাবে।
আব্দুস ছিদ্দিক জানান, এখন চারা তৈরি করতে সময় লাগবে। তাই চড়া দামে কপির চারা কিনে জমিতে লাগালাম। এলাকার যে কৃষক নিজে চারা তৈরি করে না, তাদেরকে চারার যোগান দেয় গোকুল এলাকার চারা উৎপাদনকারীরা। এই এলাকার চাষিরা সবজি চাষ না করে শুধু চারা বিক্রি করে ভালো রোজগার করে থাকেন। এভাবেই উত্তর বগুড়ার কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সবজি চাষ করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশের চাহিদা পূরণ করে থাকেন।
আল্লাহ যদি গজব না দেয়, আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে আল্লাহর রহমতে, বগুড়া সদরের লাহিরীপাড়া, শাতশেমুলিয়া, দক্ষিণভাগ, শিবগঞ্জের টেপাগারী, পার আচলাই, গাবতলীর দক্ষিণপাড়াসহ এলাকার আনেক মাঠের আগাম সবজি আর কিছুদিনের মধ্যে বাজারজাত করা যাবে বলে ওই এলাকার সবজি চাষিরা জানান।