আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের মানুষের উষ্ণ ভালোবাসায় সিক্ত হলেন “মন্ত্রী জামাই” ফরহাদ হোসেন দোদুল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামাইবরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেহেরপুরের এ কৃতি রাজনীতিককে বরণ করে নেয় কিশোরগঞ্জবাসী। ফুল ছিটিয়ে সাদরে বরণ করা হয় মন্ত্রী জামাইকে। দেয়া হয় উষ্ণ সংবর্ধনা। হাজারও মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ কিশোরগঞ্জের জামাই মন্ত্রী।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা শিলাকে নিয়ে চার দিনের সফরে শ্বশুরবাড়ি কিশোরগঞ্জে আসেন ফরহাদ হোসেন দোদুল এমপি। শহরের প্রবেশপথে বিন্নাটি মোড় এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে “জামাইবরণ” অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিন্নাটি চৌরাস্তা মোড়ে জামাইকে এক নজর দেখার জন্য জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। এক পর্যায়ে ব্যস্ততম ময়মনসিংহ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজাল, জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনার জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিশোরগঞ্জবাসীর ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। ঐতিহাসিকভাবে কিশোরগঞ্জকে একটি আবেগ ও অনুভূতির জায়গা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ দেশের কল্যাণ ও মঙ্গলের লক্ষ্যে এ জেলার মানুষ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। আর এ জন্যই এখান থেকে বারবার গুণী ব্যক্তিদের সৃষ্টি হয়।
বিন্নাটি মোড়ে বরণ শেষে বর-বধূকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে শহরে নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী বিলম্বে আসায় অনুষ্ঠান শেষ হতে রাত হয়ে যায়। তাই গাড়িতে করেই শহরে আসেন তিনি। বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমন্ত্রীকে কিশোরগঞ্জ শহরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ সহোদর, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রয়াত সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম পট্টু মিয়ার জামাতা অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল। মেহেরপুরের প্রথিতযশা রাজনীতিক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মরহুম ছহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে ফরহাদ হোসেন দোদুলের সঙ্গে সাবেক এলজিআরডি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী প্রয়াত আশরাফুল ইসলামের চাচাত বোন সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম শিলার বিয়ে হয় গত ২০০৩ সালে।
চার দিনের সফরে তিনি কিশোরগঞ্জ আসেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জ শহরে ছিল উৎসবের আমেজ। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা প্রশাসন অতিথি বরণে গত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়।
শহরের বিভিন্ন সড়কে মন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নির্মাণ করা হয় অসংখ্য তোরণ। এসব তোরণে প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও শোভা পাচ্ছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সদর আসনের এমপি সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুসহ সৈয়দ পরিবারের লোকজনের ছবি।
সূত্র : জাগো নিউজ