ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।
নওগাঁর ধামইরহাট-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বড় বড় গর্তগুলো যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যত্রতত্র খানাখন্দে বেহাল দশায় ভুক্তভোগী জনসাধারণ। আঞ্চলিক এই মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত ও জনসাধারণকে প্রায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ধামইরহাট থেকে জয়পুরহাট যাবার এ আঞ্চলিক মহাসড়কটি সীমান্তবর্তী সড়ক হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের বেশ প্রয়োজনীয় হলেও সংস্কারের অভাবে কমছে না ভোগান্তি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি ধামইরহাট বাজার সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু করে হরিতকীডাঙ্গা, শল্পীবাজার, নানাইচ মোড় এবং মঙ্গলবাড়ি বাজারের সামনে পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় পিচ এবং খোয়া, বালি উঠে গিয়ে অসংখ্য ছোট-বড় আকারের গর্ত তৈরি হয়েছে। এমনকি দীর্ঘ সময় সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার এক পাশ তলিয়ে যাওয়ায় যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এলাকার সচেতন মহল এমন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষার্থে দ্রুত এই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলার কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সরকারি এম এম কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম জানান, জনগণের ভোগান্তি লাঘব করতে রাস্তাটি সংস্কার অতিব জরুরি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে দেশের প্রায় বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল আনা-নেয়া করে ধামইরহাটের ব্যবসায়ীগণ, সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে ব্যবসায়ীদের গাড়ি ভাড়াও গুনতে হয় কয়েকগুণ বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গাড়িচালকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত রবিবার সন্ধার পরে উপজেলার জনপ্রিয় হাট থেকে গরু কিনে ফিরছিলাম রাস্তার এমন বেহাল দশায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল হক জানান, স্থানীয় সাংসদ ডিও লেটার দেওয়ায় প্রায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দে ধামইরহাট থেকে মঙ্গলবাড়ি রাস্তার সংস্কারে টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি এক-দেড় মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।