মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
সকল আয়োজন সম্পন্ন। দুই পরিবারের মেহমানে বিয়েবাড়ি ভরপুর। কিছুক্ষণ পর পর আসবে বরযাত্রী। কন্যা যাবে শ্বশুড়বাড়ি। উপস্থিত আপ্যায়ন চলছে কনে পরিবারের মেহমানদের। এর আগের রাত হয়েছে গায়ে হলুদ। আলোকসজ্জায় ঝলমল ছিল পুরো বাড়ি। এমন অবস্থায় কন্যা নিজে ফোন করে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিনকে অবহিত করে। কনে জানালেন, তার বয়স এখনো ১৮ হয়নি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নে পেশকার বাড়ীতে নিজের বিয়ে বন্ধ করার ঘটনার সংবাদে প্রকাশ। বয়স ১৮ না হওয়ায় হাটহাজারীর ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমীনকে ফোন করেন কলেজছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া (১৭)। তিনি হাটহাজারী সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
ইউএনও রুহুল আমিন তাৎক্ষণিক উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার সম্রাট খীসাকে অবহিত করামাত্রই দুপুর ২টার দিকে হাটহাজারী পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিয়েবাড়ীতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। বয়স ১৮ না হওয়ায় মেয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলে মেয়ের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমান করা হয় বলে মুঠোফোনে সহকারী ভূমি কমিশনার সম্রাট খীসা জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কনে নিজে ফোন করে জানালে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করা হয়। মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা দেন কনের পরিবার।