আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
২০২০ সালে মোট হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয় হাজার ৯২৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজারসহ মোট এক লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছিলেন। আগামী বছরও এই মোট সংখ্যা ঠিক থাকলে তার অর্ধেক সরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
এ বছর হজযাত্রীরা কোনো প্রকার বিড়ম্বনা ছাড়াই ভিসা পেয়েছেন এবং সবাই হজে যেতে সক্ষম হয়েছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার হজ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয় তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলেন হাজিরা আল্লাহর মেহমান, তাদের চোখে আমি পানি দেখতে চাই না। কোনো হাজিকে যেন এহরাম পরা অবস্থায় রাস্তাঘাটে ঘুরতে না হয়। আলহামদুলিল্লাহ, এ বছর কোনো হাজিকে হজে যেতে না পেরে রাস্তাঘাটে এহরাম পরা অবস্থায় ঘুরতে দেখা যায়নি।
এ বছর প্রথমবার ঢাকায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ায় হাজিদের সৌদিতে গিয়ে বিমানবন্দরে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্লাইট ব্যবস্থাপনাও ঠিক ছিল এবার। একটি ফ্লাইটও বাতিল হয়নি। এছাড়া লাগেজ পৌঁছে যায় হজযাত্রীদের আগেই।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বলেন, অতিরিক্ত ২০ হাজার হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধি, সৌদি বিমানবন্দরে হাজিদের অপক্ষোর সময় ও কষ্ট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশেই প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা, মিনায় অবস্থানকালে দ্বিতল খাট ব্যবহার না করা, উন্নত খাবার পরিবেশন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি এজেন্সির সর্বনিম্ন হজযাত্রীর সংখ্যা ১৫০ থেকে কমিয়ে ১০০ জন করা এবং হজের দিন মক্কা, মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় যাতায়াতের জন্য পুরানো বাসের পরিবর্তে উন্নতমানের নতুন ও পর্যাপ্ত বাস সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ কোটা বৃদ্ধির সুপারিশ ছাড়া অন্যান্য প্রায় সবগুলো দাবি মেনে নিয়েছে বলে দাবি করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। সভায় ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান ছাড়াও মন্ত্রণালয় এবং এজেন্সির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।