আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জ জেলার ২৮টি কারিগরি কলেজে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষার নম্বরপত্র না আসায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে পারছে না।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও কলেজের অধ্যক্ষগণ জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার শেষ তারিখ রোববার। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলার ২৮ কারিগরি কলেজের কোথাও নম্বরপত্র আসেনি। শিক্ষার্থীরা তাদের নম্বরপত্রের জন্য নিজ নিজ কলেজসমূহে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন।
প্রতিষ্ঠানে নম্বরপত্র না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা। ফলে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকগণ পড়ছেন বিপাকে।
আসিফ আহম্মেদ বিজয় ও তাপস চন্দ্র দাস জানান, আমরা নরসিংদী সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়ে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষার নম্বরপত্র না থাকায় ভর্তি হতে পারছি না। ভর্তির জন্য বিভাগীয় প্রধানের কাছে বহুবার অনুরোধ করলেও আমাদের ভর্তি করেননি।
লক্ষ্মীপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম হায়দার, সরারচর বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা, গচিহাটা কলেজের বিএম শাখার প্রধান অসীম মোদক ও পাকুন্দিয়া মহিলা কলেজের কম্পিউটার অপারেশন বিষয়ের প্রভাষক সুলতান আহম্মেদ যুগান্তরকে জানান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে নম্বরপত্র ও সনদপত্র কলেজসমূহে ডাকযোগে প্রেরণ করে থাকে। কখনও সরাসরি হাতে হাতে প্রদান করেনি।
ফলাফল প্রকাশের পর ২ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নম্বরপত্র পাইনি। ছাত্র-ছাত্রীরা অনার্সে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েও ভর্তি হতে পারছে না। নম্বরপত্রের জন্য প্রতিদিনই অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা কলেজে ভিড় করছেন। তাদের নানা প্রশ্নের আমরা কোনো সঠিক জবাব দিতে পারছি না। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আমাদের ভুল বুঝছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. সুশীল কুমার পাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বোর্ড হতে কিশোরগঞ্জ জেলার ২৮টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ২৪ সেপ্টেম্বর ডাকযোগে নম্বরপত্র প্রেরণ করেছি।
তিনি জানান, অনার্সে ভর্তির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজসমূহে নম্বরপত্র না পৌঁছার কারণে শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য প্রয়োজনে তিনি অনার্স কলেজসমূহের অধ্যক্ষগণের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
সূত্র : যুগান্তর