আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
“আমরা এটা পরিষ্কার করে জানাতে চাই যে, বিশ্বকাপের পর শুধুমাত্র রিশাভ পান্তকে নিয়েই ভাবছি”- বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই সিরিজের দল ঘোষণার পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদের পরিষ্কার মন্তব্য ছিলো এমন। এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “তরুণদের প্রতি যে আমাদের আস্থা রয়েছে, সেই বার্তাও দিতে চাই।”
প্রধান নির্বাচকের এমন মন্তব্যের পর ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও সময়ের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ বিন্দু দেখে ফেলেছেন অনেকেই। নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দিতে আর হয়তো ধোনির ব্যাপারে ভাববে না ভারতীয় টিম ম্যানেজম্যান্ট।
বিশ্বকাপের পর থেকে চলা নিজের স্বেচ্ছা বিশ্রামের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সফর থেকেও ছুটি চেয়ে নিয়েছিলেন ধোনি। তবু বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণার সময়, ধোনির ব্যাপারে অন্তত চারবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদকে।
যেখানে জবাবে ধোনিকে বিশ্রাম বা বাদ দেয়ার কথা একবারও বলেননি প্রসাদ। বরং সোজাসাপটা বলেছেন, “বিশ্বকাপের পর আমি পরিষ্কার করে বলে দিয়েছিলাম যে, আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাচ্ছি। তাই তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দিচ্ছি, তারা যাতে দলে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করে নিতে পারে। রিশাভ পান্ত ভালো করছে। এছাড়া ব্যাকআপ উইকেটরক্ষক হিসেবে সানজু স্যামসনও নিজেকে তৈরি করে ফেলেছে। আমি নিশ্চিত আপনারা আমাদের পরিকল্পনাটা বুঝতে পারছেন।”
প্রধান নির্বাচকের কাছ থেকে এমন উত্তরের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন, যদি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চায় ধোনি? তখন কী করবে টিম ম্যানেজম্যান্ট?- এ বিষয়ে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে, বলটা ধোনির কোর্টেই ঠেলে দেন প্রসাদ।
তিনি বলেন, “এটা তো পুরোপুরি ধোনির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সে যা ভাববে তাই হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে গিয়ে নিজের ছন্দে ফেরা অথবা অবসরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া- এসব ব্যাপারে তার নিজের মতামতই ধর্তব্য। তবে আমরা এরই মধ্যে ভবিষ্যতের জন্য রোডম্যাপ সাজিয়ে ফেলেছি। আমাদের দল নির্বাচন দেখেই আপনারা এটা বুঝতে পারছেন হয়তো।”
দলের প্রধান নির্বাচকের এমন মন্তব্যের পর, এটা স্পষ্টত যে ভবিষ্যতের জন্য ধোনির ফেরার পথে আর না তাকিয়ে, তরুণদের ওপর বিনিয়োগ করতেই বেশি আগ্রহী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। যার ফলে এখনও পর্যন্ত ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর না নিলেও, ক্যারিয়ার প্রায় শেষই বলা চলে ধোনির।