“কাদিয়ানীরা কাফের হিসেবে থাকতে পারবে মুসলমান হিসেবে নয়”

মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।

কাদিয়ানী জনগোষ্ঠীরা কাফের, এরা মুসলমান নয়। কাদিয়ানীরা রাসুল(সাঃ)কে শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করে না। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেই শেষ নবী দাবি করেন। এরা কাফের, এতে কোন সন্দেহ নেই, যারা তাদের কাফের বলবেনা তারাও কাফের। এ দেশে কাদিয়ানী গোষ্ঠী কাফের হিসেবে থাকতে পারবে মুসলমান হিসেবে পারবে না বলে উপরোক্ত মন্তব্য করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও হাটহাজারী মাদরাসার মহা পরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

তিনি গতকাল (৮ নভেম্বর) শুক্রবার বাদে মাগরিব চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সেবামুলক ধর্মীয় সংগঠন আল আমিন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় (২৬তম) ২ দিন ব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের সমাপনী দিবসে দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোল্লিখিত বক্তব্য রাখেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছি কাদিয়ানিদের বিষয়ে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ বিষয়ে বার্তা পৌছাবেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানী গোষ্ঠিদের কাফের ঘোষণা করতে হবে। আমি যদি বেঁচে থাকি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে কাদিয়ানীদের বিষয়ে সব বুঝিয়ে বলব। অন্য ধর্মাবলম্বীরা যেভাবে বসবাস করতেছে। এই জনগোষ্ঠীও দেশে একইভাবে বসবাস করতে পারবে, মুসলমান হিসেবে নয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তাফসীর মাহফিলে আরো বলেন, আপনাদের মেয়েদেরকে স্কুল, কলেজে পড়ালেখা করাবেন আলাদা করে, পুরুষদের সাথে নয়। মেয়েদের জন্য পৃথক স্কুল, কলেজ ব্যবস্থা করে দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানাতে বলেন মাহফিলে আগত তৌহিদি জনতাদের।

মেয়েদের জন্য মহিলা শিক্ষক, ছেলেদের জন্য পুরুষ শিক্ষক দিয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা সহ নামাজ ও নারীদের পর্দা করার ও আহবান জানান। পরে তিনি আগত মুসল্লিদের তওবা ও বায়াত করান।

উক্ত তাফসীর মাহফিলে সমাপনী দিনে মেখল মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নোমান ফয়েজীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন,মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন ঢাকা, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ ঢাকা, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক ফেনী, মুফতি মাহমুদুল হাসান বাবুনগরী, মুফতি কুতুব উদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা আবদুল করিম চারিয়া মাদরাসা, মুফতি মুহাম্মদ হাটহাজারী মাদরাসা প্রমুখ।

সমাপনী দিনে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমান এ বিশাল মাহফিলে নসিহত শ্রবন করতে দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে এসেছে। বিশাল সামিয়ানার গন্ডি পেরিয়ে উপস্থিত তৌহিদি জনতা দাড়িয়ে দাড়িয়ে নসিহত শ্রবণ করতে দেখা গেছে। যেন জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে। পরে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হয়।

Similar Posts

error: Content is protected !!