ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধি ।।
হেমন্তের সু-ঘ্রাণে চারদিকে মৌ মৌ করছে পাকা ধানের গন্ধ। মাঠে রোদের আলোয় সোনালি রঙে ধানের শীষে মৃদু হাওয়ায় দুলছে কৃষকের হাসি। হেমন্ত এলেই চিরাচরিত গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে জামাই, বেটি আর নাতি-পুতিদের আগমনে শুরু হয় ভাপা পিঠার উৎসব। ব্যাঁক বোঝায় ধান কাঁধে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে কৃষকের পথচলা রুপসী বাংলার অপরূপ দৃশ্য ফুটে ওঠে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনালী ধানে ভরে উঠেছে রোপা আমনের ক্ষেত। আর সেই ক্ষেত থেকেই আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে ধামইরহাট উপজেলার বেশ কিছু এলাকায়। এবার ২০ নভেম্বর থেকে কৃষক পর্যায়ে হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ধান কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে এবারও ধানের নায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকদের। তারা বলেন, প্রান্তিক এসব ধানের হাট ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণ করায় সরকারের বেঁধে দেয়া দরের অর্ধেক দামেই চলছে ধান বেচা কেনা। হাট বাজারে আগাম জাতের ধান মণপ্রতি ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
অপরদিকে উত্তর চকযদু গ্রামের কৃষক যুবনেতা আব্দুল হাই দুলাল প্রায় ৪ বিঘা জমিতে আগাম জাতের (আগুর) ব্রিধান-৮৭ লাগিয়ে বিঘা হাড়িয়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ ধান পাওয়ায় মহাখুশি। এবার সরকারের আগাম ধান কেনার ঘোষণাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন তিনি। তবে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় প্রকৃত কৃষকরা যেন এ সুফল পেতে পারেন তা নিশ্চিত করার দাবিও জানান।
অন্যদিকে গেল বোরো মৌসুমে গুদামে অনেক কৃষকই ধান দিতে না পারার আক্ষেপ করে তিনি বলেন, এবার যেন প্রকৃত কৃষকরা এ সুযোগ পায় তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি আমন মৌসুমে আমাদের টার্গেট ছিলো ১৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর, সেখানে আমাদের ১৯ হাজার ৭৮০ হেক্টর অর্জিত হয়েছে।