আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
প্রেমিকাকে (১৭) জোর পূর্বক ধর্ষণ করতে না পেরে ব্লেড দিয়ে তার গলা কেটে দিয়েছে আমিনুল ইসলাম আমির (১৯)। এ ঘটনায় আহত তরুণীকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে ভৈরব শহরের কমলপুর গাছতলাঘাট এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আমিরের বাবার নাম আ. হক। অপরদিকে আহত তরুণীর বাসা শহরের পঞ্চবটি এলাকায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই প্রেমিক আমিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তরুণীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার অপর দুই আসামি হলো সবুজ (৩০) ও শরীফ (২২)। তাদের বাড়ি শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায়। মামলার পর রাতেই আমীরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ (শুক্রবার) সকালে তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত এক বছর যাবত আমীরের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেম ছিল। কিন্ত বিষয়টি তার মা-বাবা জানতেন না। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তাকে গাছতলাঘাটের বাসায় ডেকে নেয়। এ সময় সেখানে তার দুই সহযোগী অবস্থান করছিল। বাসায় গেলে আমীর তাকে বাইরে নির্জন স্থানে নিয়ে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন তরুণী বাধা দিলে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ব্লেড দিয়ে তার গলা কেটে দেয় এবং সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা সেখানে এসে ঘটনা দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ আহত প্রেমিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এরপর পুলিশের ফোন পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যায় তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। সেখানে গিয়ে আহত মেয়ের মুখ থেকে ঘটনা শুনে রাতেই থানায় মামলা করেন তার মা। তিনি জানান, সকাল থেকেই মেয়েকে বাসায় না পেয়ে চিন্তায় ছিলাম। পরে পুলিশের ফোন পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে পুরো ঘটনা জানতে পারি।
তিনি আরও বলেন, “আমরা গরীব মানুষ। মেয়েকে চিকিৎসা করার টাকা নেই। আমি লম্পট আমিরের কঠোর বিচার দাবি করছি।”
ভৈরব থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক রাসেল আহমেদ জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণ চেষ্টার আইনের দু’টি ধারায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সূত্র : জাগো নিউজ