আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
ভৈরবে একাধিক বিয়ে করে স্ত্রীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করান জুবায়ের হোসেন হৃদয় (৩৪) নামে এক ব্যক্তি। এমন কাজে হৃদয়কে সহযোগিতা করেন আরও কয়েকজন নারী-পুরুষ। এ ঘটনায় মামলা করেন হৃদয়ের এক স্ত্রী। ওই মামলায় হৃদয়ের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাঁচ মাস আগে বিয়ে করা স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করলে শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে মামলা করা হয়। পরে হৃদয়ের সহযোগী শান্তা আক্তার ও তার স্বামী রাজু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। রাজুকে গ্রেফতারের পর পালিয়ে যান হৃদয়।
অভিযুক্ত জুবায়ের হোসেন হৃদয়ের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। গ্রেফতার হৃদয়ের সহযোগী রাজু মিয়া ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া বাসিন্দা সাধু মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারকৃতদের রোববার (২৪ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হৃদয়ের স্ত্রীর অভিযোগ, সহযোগীদের নিয়ে অনেকদিন ধরে পুলিশ ও সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করছেন হৃদয়। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে ভৈরব শহরের আমলাপাড়া এলাকার একটি বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে যান হৃদয়। সেখানে স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। এতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন করেন হৃদয়। সেখান থেকে পালিয়ে এসে শনিবার ভৈরব থানায় মামলা করেন স্ত্রী।
হৃদয়ের স্ত্রী বলেন, পাঁচ মাস আগে আমার সঙ্গে হৃদয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসায় থাকতাম। কয়েকদিন আগে জানতে পারি এর আগে একাধিক বিয়ে করেছে হৃদয়। এরই মধ্যে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সোমবার (১৮ নভেম্বর) আমাকে ভৈরবে নিয়ে আসা হয়। এখানে কমলপুর এলাকার হৃদয়ের এক বন্ধুর বাসায় আমাকে নেয়া হয়। শুক্রবার রাতে শহর ঘোরানোর কথা বলে আমাকে আমলাপাড়ার একটি বাসায় নিয়ে যায় হৃদয়। ওই বাসায় আগে থেকেই অবস্থান করেছিল হৃদয়ের সহযোগী রাজু। এরপর অপরিচিত এক ব্যক্তির রুমে আমাকে ঢুকিয়ে দিয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করা হয়।
তিনি বলেন, সেখানে অপরিচিত এক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ ও সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়। পরে গোপনে এসব কথা আমার পরিবারকে জানাই। শনিবার সেখান থেকে পালিয়ে এসে থানায় মামলা করি। পরে পুলিশ রাজুকে গ্রেফতার করলে হৃদয় পালিয়ে যায়।
হৃদয়ের স্ত্রী আরও বলেন, একাধিক বিয়ে করে স্ত্রীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করান হৃদয়। কখনো পুলিশ আবার কখনো সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে হৃদয়। আমি তার কঠোর বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভৈরব থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদ বলেন, গৃহবধূ মামলা করার পর হৃদয়ের সহযোগী রাজুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হৃদয় পালিয়ে যায়। আসামিরা মূলত প্রতারক। বিয়ে করে স্ত্রীদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করায় তারা। খদ্দেরদেরকে পুলিশ ও সিআইডির কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে প্রতারণা করছে এই চক্রটি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সূত্র : জাগো নিউজ