নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর সহ-সভাপতি এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খানকে বহিষ্কারের আবেদন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার জন্য সেই সাথে মূল দলসহ অঙ্গ সংগঠনের গ্রুপিং এবং দলের মহাসচিব এর বিরুদ্ধে মামলা করে দলকে আইনগত ভাবে বেকায়দায় ফেলানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার কারণে অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে এই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ পত্রটিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পক্ষে স্বাক্ষর করেন সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।
অভিযোগ পত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি দলের সাথে আতাত করে আদালতের মাধ্যমে দলীয় কর্মকান্ড ও কর্মসূচী বন্ধ করার এবং দলকে আদালতে আইনের মার প্যাচে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে ব্যহত করার ষড়যন্ত্রে থাকার যে নীল নকশা এড. শাখাওয়াত হোসেন খান গ্রহণ করেছেন তাতে, দল সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে বাধাগ্রস্থ ও মহানগর বিএনপি’-কে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল করার হীন চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’কে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার স্বার্থে দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র কার্যকরী কমিটির সভায় অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ বাস্তবায়ন করে, এড. শাখাওয়াত হোসেন খান-কে বহিস্কারের জোর অনুরোধ করছি।
জানা গেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি ও কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর আসে ওই আদেশ। এর আগে গত ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারি জজ শিউলী রানী দাসের আদালতে মহানগরের ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলজার খান ও একই ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক (পৌরসভাকালীন) বিএনপি নেতা নূর আলম শিকদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে।
উল্লেখ্য, মামলার বাদীদের একজন গুলজার হোসেন খান মহানগর কমিটির সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খানের খুবই ঘনিষ্ঠজন। সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে আলোচিত বিষয় হলো জেলা ও মহানগর কমিটির বিরুদ্ধে মামলা। যা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির জন্য একটি লজ্জাজনক বিষয়। তবে এই লজ্জাজনক পরিস্থিতির পিছনে মূল কারিগর হিসেবে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। যা আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতার্কর্মীরা ধারণা করে নিয়েছিলেন। সবশেষ মামলার বাদীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকও বিয়য়টি স্বীকার করেছেন। তার এই স্বীকারোক্তিমূলক অডিও রেকর্ডিংটি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছেও রয়েছে।