খাইরুল মোমেন স্বপন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।
রয়েছে কিশোরগঞ্জের জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিষেধাজ্ঞা। থানা পুলিশকেও তোয়াক্কা না করে নিকলী উপজেলা সদরের প্রভাবশালী একটি মহল স্থাপনা নির্মাণ করছে। এ নিয়ে উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, নিকলী উপজেলা সদরের নিকলী মৌজার খতিয়ান (আরএস) ১৮১১-এর দাগ (আরএস) ৪৫০৩ নং কান্দা শ্রেণির ২৪.৯৪ শতাংশ জমি নিয়ে একই ওয়ার্ডবাসি মৃত আছির উদ্দিনের পুত্র নূরুল ইসলামের সাথে মজলু মিয়ার পুত্রদ্বয় আলমাছ ও শাহাবুদ্দিনের বিবাদ চলমান। আদালতে বিচার প্রক্রিয়াধীন।
গত ২৬ অক্টোবর আলমাছ ভ্রাতৃদ্বয় নালিশা জমি দখলে যায়। নূরুল ইসলাম বিষয়টি আদালতকে জানালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মস্তুফা ২৯ অক্টোবর জমিটির সকল প্রকার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন। আগামি ২৪ ডিসেম্বর স্বপক্ষের দলিলাদি নিয়ে হাজির হতে আদেশ করেন।
নিকলী থানা পুলিশের এএসআই মো. জসীম উদ্দিন উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে আদালতের আদেশ জানিয়ে দেন। কিন্তু আদালত ও থানা পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পরও আলমাছ ভ্রাতৃদ্বয় নালিশা জমিতে নানা রকম স্থাপনা ও কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। নোটিশ প্রদানকারি এএসআই জসীম উদ্দিন বলেন, আমি একাধিকবার নিষেধ করে এসেছি। না মানলে আমরা আর কী করতে পারি।
উল্লেখ্য, নালিশা জমির উপর আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশের দিন বিকালে নূরুল ইসলামের মৃত্যু হয়।