আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্ত্রীর নির্যাতন সইতে না পেরে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন এক প্রবাসী স্বামী। স্ত্রীর বিরুদ্ধে কথায় কথায় মারধর, অকথ্য ভাষায় গালাগালি, তালাক দেয়ার হুমকিসহ নানা অভিযোগে এনে বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে ভৈরব থানায় ভুক্তভোগী স্বামী সোহান মিয়া (২২) বাদী হয়ে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সোহান মিয়া ভৈরব শহরের পঞ্চবটি এলাকার রাশেদ মিয়ার ছেলে। তিনি প্রবাসে থাকেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোহানের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার অষ্টগ্রাম গ্রামে। তার পরিবার দীর্ঘদিন যাবত ভৈরবে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। সোহান প্রবাসে থাকেন। গত আট মাস আগে তিনি শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকার মিজান মিয়ার মেয়ে স্বপ্না বেগমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী এখন গর্ভবতী। বিয়ের পর জানতে পারেন তার স্ত্রীর সঙ্গে খালাতো ভাইয়ের প্রেম ছিল। এসব নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। বাসায় তুচ্ছ ঘটনায় স্বপ্না তার গায়ে হাত তোলেন, মারধর করেন। প্রায় সময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাকে তালাকের হুমকি দেন। এমনকি গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলতেও তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। স্ত্রীকে বকা দিলে তিনি নারী নির্যাতন মামলার হুমকির দেন।
বিয়ের পরও স্বপ্না তার প্রেমিক খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে বোন হ্যাপীকে নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে সোহান ভৈরব থানায় অভিযোগ দেন।
সোহান বলেন, বউয়ের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমার স্ত্রী স্বপ্না বেগম প্রায়ই আমাকে হুমকি দেয় নারী নির্যাতন মামলা করে আমাকে জেলের ভাত খাওয়াবে। তার গর্ভে আমার তিন মাসের সন্তান রয়েছে। স্বপ্নার অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।
ভৈরব থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খাঁন বাহার বলেন, সোহানের অভিযোগটি পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র : জাগো নিউজ