মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিশেষ সংবাদদাতা ।।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে লোকজনকে ঘরে থাকার কঠোর নির্দেশনা দিলেও মানছেন না কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের লোকজন। জনসমাগম ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য হাট-বাজার বন্ধ ঘোষণা করলেও সরেজমিনে দেখা যায়, ছাতিরচর বাজারে শত শত দোকান সাজিয়ে বসছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।
দেশের বিভিন্ন শহর থেকে লোকজন গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসায় এলাকায় বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। সবাই মিলে বাজারেই তাদের আড্ডাস্থল। সিংপুর, দামপাড়া ও নিকলী নতুন বাজারে একই চিত্র। এসব হাটে স্থানীয় দোকানদারদের দোকান খুলে মালামাল বিক্রি করতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা থাকলেও ছাতিরচর মেলা বাজারে গণজমায়েত বন্ধ হয়নি। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কথা কানেই নিচ্ছে না। বাজারে জবাই হচ্ছে গরু, মহিষ। যেন ঈদ-উৎসব! উপজেলার সকল হাট-বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান এএম রুহুল কুদ্দুস ভূঞা জনি ও নির্বাহী কর্মকর্তা সামছুদিন মুন্না বন্ধ ঘোষণা করেন।
এ আদেশে অন্যান্য বাজার বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই ছাতিরচর মেলা বাজার। এছাড়াও সেনাবাহিনীর টহলরত সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে মাইকিং করে লোকজনকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করার জন্য সর্তক করে যাচ্ছেন। এ সময় বাজারে অবস্থানরত ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাদের মাস্ক নেই তাদেরকে বাজার থেকে চলে যেতে বলা হয়।
ছাতিরচরের বাজারে গণজমায়েত নিয়ে নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুল আলম সিদ্দিকীর সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, ছাতিরচর একটি রিমোট এলাকা। তথাপি আমাদের পুলিশ প্রশাসন বার বার সেখানে যাচ্ছে। কিন্তু করোনা সম্পর্কে এলাকাবাসী সচেতন হচ্ছে না। তাদের সচেতন হতে বাধ্য করা হবে।