মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিশেষ সংবাদদাতা ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন নারায়গঞ্জের সাপের, ধর্মগঞ্জ, আলীগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন ইটখলা, গার্মেন্ট, কল-কারখানা ও জাহাজ খালাসির শ্রমিকের কাজে কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কর্মীরা হলেন দামপাড়ার আলিয়াপাড়া, আসানপুর, বড়কান্দা, সিংপুরের। এছাড়াও নিকলীর প্রায় সব এলাকার মানুষই কম-বেশি নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন।
নিকলীর স্থানীয়দের মধ্যে এখন “নারায়ণগঞ্জ” ভীতি বিরাজ করছে। কারণ, এখন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত রোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ। আর নারায়ণগঞ্জে কর্মরত মানুষজন লকডাউনকে ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছেন যার যার গ্রামের বাড়িতে। ফলে নিকলীর স্থানীয় জনগণ প্রচণ্ড করোনাভীতির মাঝে দিন কাটাচ্ছে।
সরেজমিন এলাকাবাসীর লোকদের সাথে কথা হলে তারা এ প্রতিনিধিকে জানায়, প্রতিদিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত মানুষেরা সেখান থেকে গভীর রাতে বিভিন্ন পিকআপে চড়ে ভোরে সদর ইউনিয়নের নতুন বাজার এবং দামপাড়া কলেজের কাছে এসে নামেন। আর সেখান থেকে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়িতে যান।
অনেক সময় এলাকাবাসী বুঝতেও পারেন না তাদের এলাকায় বাইরে থেকে কেউ এসেছেন কিনা। এ বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে দামপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহেরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তার ইউনিয়নে জানামতে এখন পর্যন্ত ৩৭জন নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য উপজেলা প্রসাশনকে জানানো হয়েছে। এর বাইরেও থাকতে পারে। তবে চৌকিদার এবং দফাদার দিয়ে খোঁজ করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই বলেন, নারায়ণগঞ্জ ফেরত লোকদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত কতজন গ্রামে এসেছেন তার সংখ্যা জানা নেই। তবে যাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে ঘরে অবস্থানের জন্য তাদেরকে তাগিদ দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।