আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি দরের ৫৭ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী ডিলারের গুদাম থেকে এসব চাল উদ্ধার করেন।
এ সময় ডিলার নাসির উদ্দিনকে আটক করা হয় এবং উদ্ধারকৃত চাল জব্দ করে কুলিয়ারচর থানায় নেয়া হয়। আটক নাসিরউদ্দিন কুলিয়ারচরের ফরিদপুর ইউনিয়নের ডিলার। তিনি উপজেলার আলালপুর গ্রামের মৃত ইজাফর আলীর ছেলে।
জানা গেছে, ডিলার নাসির উদ্দিন গত মাসে উপজেলা থেকে বরাদ্দ পেয়ে কুলিয়ারচর খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে তার গুদাম ফরিদপুর এলাকায় নিয়ে যান। এলাকার মাজার সংলগ্ন গ্যারেজের পাশেই তার গুদাম। এক মাস আগে চাল উত্তোলন করে তার গুদামে নেয়ার পর আংশিক চাল কার্ডধারী কর্মহীন লোকদের কাছে ১০ টাকা কেজিতে বিতরণ করেন। কিন্তু গুদামে থাকা ৫৭ বস্তা চাল বিতরণ না করায় কিছু কার্ডধারী চাল পাননি। তারা ডিলারকে খুঁজে না পেয়ে গোপনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমবার সন্ধ্যায় তার গুদামে গিয়ে ওই চাল উদ্ধারসহ তাকে আটক করেন।
এ সময় কুলিয়ারচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। পরে চাল জব্দ করে থানায় নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ডিলার নাসির উদ্দিন বলেন, আমি গত কয়েকদিন যাবত অসুস্থ। সুস্থ হয়ে ৫৭ বস্তা চাল কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করতাম। চালতো আমি বাজারে বিক্রি করিনি। আমার গুদামেই মজুত ছিল। বিতরণে বিলম্ব হতে পারে, কিন্ত আমি কোনো অপরাধ করিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী জানান, গোপনে অভিযোগ পেয়ে গুদাম থেকে চাল উদ্ধারসহ ডিলারকে আটক করা হয়েছে। একমাস আগে চাল গুদাম থেকে তুলে তিনি আংশিক বিতরণ করে ৫৭ বস্তা চাল বিতরণ করেননি।
তিনি বলেন, ডিলার অসুস্থ হলে আমাকে বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানাতে পারতেন। তিনি এখন বিভ্রান্তিমূলক কথা বলছেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে তিনি কর্মহীন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করবেন এটা মেনে নেয়া যায় না। দেশে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ দুর্দশায় আছে। এই সময়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন ডিলার। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততি চলছে।
সূত্র : জাগোনিউজ২৪