মহিউদ্দিন লিটন, বাজিতপুর ।।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের লৌহগাঁও দক্ষিণ পাড়া পুকুরের এক পক্ষ লিজ গ্রহণকারী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শরিফ মিয়া ও অপর পক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সুলতান মিয়া গংদের মাঝে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের আহত অন্তত ৩০ জন হয়েছেন।
আহতরা হলেন- মোঃ সিদ্দু মিয়া (৩৭), নূর ইসলাম (৪০), তাজিম মিয়া (২২), আব্দুল মিয়া (২৪), সাকিব মিয়া (২০), রুবেল মিয়া (২৬), রুবেল মিয়া (২৭), আশরাফ উদ্দিন (৩০), রোমান মিয়া (২৫), জাকির হোসেন (২০), মহিউদ্দিন (২৫), রাসেল মিয়া (২৪), রয়েল মিয়া (২৮), মসু মিয়া (২৭), শরিফ মিয়া (৩৫), রুহুল উদ্দিন (৪৫), কবির মিয়া (৪৪), ইকবাল মিয়া (২৭)। এদের মধ্যে সিদ্দিক মিয়া, নূর ইসলাম, আজিম মিয়া, আশরাফ উদ্দিনকে বাজিতপুর ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটে শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লৌহগাঁও দক্ষিণ পাড়া মসজিদের পুকুরের দুই বছরের জন্য লিজ নেয় শরিফ মিয়া। এক মাস বাকি থাকতে অপর পক্ষ সুলতান মিয়ার লোকজন পুকুরের মধ্যে কয়েকশ’ মাছ ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে শরিফ মিয়া গংরা প্রতিপক্ষ সুলতান মিয়ার নিজ বাড়িসহ তার আত্মীয়স্বজনের অন্তত ৫০টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা শরিফ মিয়া দাবি করেন মসজিদ কমিটির কাছ থেকে তিনি ২ বছরের জন্য পুকুরটি লিজ নেন। কিন্তু তার প্রতিপক্ষের লোকজন তার ১৫-২০ লক্ষ টাকার মাছ লুট করার পরিকল্পনা করছে বলে তিনি দাবি করেন। অপরপক্ষ প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা সুলতান মিয়া দাবি করেন, তার লোকজন লিজকৃত পুকুরে মাছ ছাড়েননি। পরিকল্পিতভাবে ওই পক্ষটি তার আত্মীয়স্বজনের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে।
এ বিষয়ে দুই পক্ষই বাজিতপুর থানায় শনিবার সকাল ১১টায় অভিযোগ দায়ের করেন। বাজিতপুর থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারি ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তিনি দু’টি অভিযোগ পেয়েছেন।