মহিউদ্দিন লিটন, বাজিতপুর ।।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভাটি দেড়শ’ বছর পার হলেও এখানকার সুইপার পট্টির কলোনির পরিচ্ছন্নতা কর্মিদের সরকারিভাবে কোনো জায়গা না থাকার কারণে তাঁরা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। অথচ কিশোরগঞ্জ জেলার কয়েকটি পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মিদের সরকারিভাবে নির্দিষ্ট কলোনি রয়েছে।
এই পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মিরা গত ৫৩ দিন ধরে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে পৌরসভার রাস্তা-ঘাট, ড্রেন, ময়লা পরিষ্কার করে আসছেন। কিন্তু তাদের মাস্ক, পিপিই, হাতের গ্লাভস, সুরক্ষা জুতাসহ অন্যান্য জিনিস খুবই জরুরি বলে অনেকে দাবি করছেন।
শনিবার সকালে সুইপার কলোনিতে গেলে তাদের মধ্যে রাজু বাজপেয়ি, বিজয় বাজপেয়ি, কাঞ্চন বাজপেয়িসহ এই কলোনির ১৫-২০ জনের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, আগে আমরা পরিচ্ছন্নতা কর্মি হিসাবে ৩০ জন কাজ করতাম। বর্তমানে করোনাভাইরাস আসার পর ১০-১৫ জনকে পৌরসভার চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। আমাদেরকে পৌরসভা থেকে ১৫০০-২০০০ টাকা বেতন দেয়। এর পরেও আমাদের অনেককে চাকরি হারাতে হয়েছে। এই পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ সহায়তা আমরা একটি পরিবারও পেলাম না।
অন্যদিকে পৌরসভার ড্রেনের কাজের জন্য অন্য লোকদের প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে বেতন দেয়। এরপরও পৌরসভা থেকে সঠিক সময়ে বেতন দেওয়া হয় না। বাজিতপুর পৌরসভা কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর মোঃ কামাল উদ্দিন জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সব জিনিসপত্র অতিব জরুরি। একই সঙ্গে তাদের নিয়মিত প্রয়োজন হিসেবে টিউবয়েল খুবই দরকার।