আজিজুল হক বিপুল, মহাস্থান (বগুড়া) ।।
দেশব্যাপী করোনার দুর্যোগে বহু মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে আছেন। অর্থাভাবে যখন অনেক নিম্নবিত্ত পরিবারের চুলায় হাড়ি বসছে না, ঠিক সেই মুহূর্তে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাতা হয়ে উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখাচ্ছেন শিবগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজু।
করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই তিনি ত্রাণ সহায়তায় সাড়া জাগিয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলাব্যাপী। ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজু এক বছরের সম্মানী বেতন ও নিজের জমানো কিছু টাকা জরুরি ত্রাণ তহবিলে তুলে দিয়ে উপজেলা জুড়ে লকডাউন থাকা রোজগার বন্ধ হওয়া বিপাকে পড়া অনেক দরিদ্র পরিবারের সহযোগিতা করছেন।
উপজেলায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ তুলে দিয়ে কর্মহীন প্রান্তিক মানুষের পাশে ধাপে ধাপে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। শিবগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, উপজেলাজুড়ে নিজ কর্মগুণে অনেক আগেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান রাজু। সদা হাস্যোজ্জ্বল স্বভাবের এই মানুষটি ভাইস চেয়ারম্যান ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের দায়িত্বই তিনি নিজের কর্তব্য মনে করে পালন করে ইতোমধ্যে প্রশংসতি হয়েছেন।
যে কারণে তিনি বগুড়া ভাইস চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন। রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছেও রয়েছে তার যথেষ্ট কদর। কোনো সমস্যা নিয়ে কেউ যদি এই তরুণ নেতার কাছে গিয়েছেন সেটি তিনি গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করেছেন। এমন অনেক রেকর্ড তার রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের কাজ করে থাকি। উপজেলা মানুষের পাশে থাকার স্বপ্ন আমার ছোটবেলা থেকেই। উপজেলা নির্বাচনে জনগণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। এজন্যই করোনা মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত অর্থ কাজে লাগিয়ে সমাজের পাশে থাকতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
এজন্যই তিনি নিজের এক বছরের বেতন ও জমানো অর্থ সেসব মানুষের সাহায্যার্থে বিলিয়ে দিলেন। তিনি ৫৩ ধাপে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে খাদ্যসামগ্রী, নগদ অর্থ ও করোনা ভাইরাস মোকাবেলা উপকরণ বিতরণ করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে তার এই ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।