আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে ক্রিস গেইলকে দলে নিয়েছে সেইন্ট লুসিয়া জুকস। প্রাক্তন দল জ্যামাইকা তালাওয়াজ এ মৌসুমে তার প্রতি আগ্রহ না দেখালে, সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সেইন্ট লুসিয়া। গেইলকে দলে পেয়ে যারপরনাই খুশি হন সেন্ট লুসিয়া কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। কিন্তু গেইল নিজে মোটেও খুশি নন নিজের দলবদলে। গত মাসে রাগ প্রকাশ করতে গিয়ে সাবেক দল মালিক ও সতীর্থ খেলোয়াড়কে যাচ্ছেতাই ভাষায় অপমান করেন গেইল।
যার ফলে এখন বিপাকে পড়তে যাচ্ছে তার নতুন দল সেইন্ট লুসিয়া। কেননা চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হয়েও অশোভন আচরণ করায় নিষেধাজ্ঞার খড়গ আসতে পারে গেইলের ওপর। আর এমনটা হলে, তাকে দলে নিয়েও টুর্নামেন্টে পাবে না সেইন্ট লুসিয়া।
জ্যামাইকা তালাওয়াজের প্রধান নির্বাহী জেফ মিলার এবং মালিক ক্রিশ পারসাউদের বিপক্ষে ইচ্ছাকৃত নাটক করার অভিযোগ এনেছিলেন গেইল। একইসঙ্গে জ্যামাইকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সতীর্থ রামনরেশ সারওয়ানকে বলেছিলেন, তুমি করোনাভাইরাসের চেয়েও নিকৃষ্ট।
এগুলো আমলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। সরাসরি নিষেধাজ্ঞার কথা না বললেও, শাস্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ড প্রধান রিকি স্কেরিট। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বকে এভাবে জনসম্মুখে আনার বিষয়টিও পছন্দ হয়নি ক্যারিবীয় বোর্ড প্রধানের।
চুক্তিপত্রের বিষয়াদি উল্লেখ করে স্কেরিট বলেছেন, “যখন কোন খেলোয়াড় বোর্ড বা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তিতে থাকে, তখন সেই চুক্তির কারণেই অপবাদ দেয়ার মতো কোন কথা বলতে পারে না। বললে সেটা চুক্তিতেই একটা কালো দাগ বসিয়ে দেয়। আমার মনে হয় গেইল হয়তো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে…। এখন নিশ্চয়ই সিপিএল আয়োজকদের সঙ্গে গেইলের আলোচনা চলছে। কারণ গেইল একটা দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে।”
এসময় পুরো ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “দেখুন আমি গেইলের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছি না। তার নিজের মাথায়ই হয়তো অনেক চিন্তা ঘুরছে, তাই এভাবে জনসম্মুখে সব বলেছে। তবে আমি মনে করি এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে যেহেতু সে একজন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। তাই একটা প্রক্রিয়া অবশ্যই অনুসরণ করা হবে।”