মোঃ হেলাল উদ্দিন, নিকলী থেকে ।।
বাংলাদেশের প্রশাসনিক ক্যাডারে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা একই স্টেশানে তিন বছর অবস্থান করা অত্যন্ত কঠিন সমাচার। কিন্তু এ কঠিন কাজটিই করেছেন কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামের (কালিকা সরকার বাড়ির) শিক্ষাপরিবারের জনক মরহুম আব্দুল হামিদ, মাতাঃ আনোয়ারা বেগমের সন্তান মাদারীপুরের জনতার কর্মমুখর জেলা প্রসাশক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম।
ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন বিনয়ী ও সাদা মনের মানুষ। ৯ ভাই ও দু’বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তিনি সততা, আদর্শ এবং নিষ্ঠার সাথে নিরলসভাবে সরকারি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। দেশের প্রতি রয়েছে তাঁর অবিচল আস্থা, হৃদয়ের সেতুবন্ধন নিজ দপ্তরের কাজকে জীবনের চেয়েও আপন মনে করে থাকেন। আত্মবিশ্বাসের উঠোনে দাঁড়িয়ে তিনি আগামীদিনে আশা রাখতেই পারেন।
বাংলাদেশের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। গত ১১ মে, সোমবার মাদারিপুরের জেলা প্রশাসক হিসাবে কৃতিত্বের সাথে তিন বছর পূর্ণ করলেন তিনি। দেশ ও জাতির যোগ্য সন্তানের মানসে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে বলিয়ান। মাদারীপুরের দক্ষ জেলা প্রসাশকের দায়িত্ব পালনের সফলতার চিত্র দেশের বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক বন্ধুরা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন।
যে সমস্ত কাজে তিনি বিচক্ষণতার সাথে সহায়তা প্রদান করেছেন আর তা হলো- বালাদেশ সরকারের তিনটি মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু,(মাদারীপুরের অংশ) ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত সিক্স লেন হাইওয়ে, পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প বাস্তবায়ন, শিবচরে প্রধানমন্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত চারটি প্রতিষ্ঠান। জননেত্রী শেখ হাসিনা টেক্সটাইল কলেজ, শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী, শেখ হাসিনা হাইটেক পার্ক। মাদারীপুরে সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বিত দশতলা অফিস ভবন, চরমুহুরিয়া ইকোপার্ক, মাদারীপুরের শকুনি লেকের সৌন্দর্য বর্ধন। শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা। একনিষ্ঠভাবে সরকারের নীতি, আদর্শ ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে ইফাইলিং, ই-মোবাইল কোর্ট, ই-মিউটেশন ও অনলাইনভিত্তিক সেবা কার্যক্রম মাদারীপুরে চালু করা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউসের সৌন্দর্য বর্ধন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ইউআই ও ডনোভান স্থাপন। সরকারি স্কুলের সামনে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার ম্যুরাল স্থাপন।
বহুমুখী সেতু বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় এবং মাদারীপুরে তিন বছরপূর্তি উপলক্ষে সামাজিক যোগাগোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, নিজ এলাকার লোকজন এবং আত্মীয়-স্বজনসহ সুধীজন, বন্ধুজন তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়াও অভিনন্দন জানিয়েছেন “গোল্ডেন কিশোরগঞ্জ” সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক কৃষিবিদ ড. মো. মোজাম্মেল হক খোকন, গোল্ডেন কিশোরগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শেখ মলাই প্রমুখ।