অষ্টগ্রাম প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার ২নং কাস্তুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল হক রন্টির বিরুদ্ধে সরকারি ব্লক অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ করেন একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ আলাল মিয়া। তিনি বলেন, অষ্টগ্রাম-বাজিতপুর সড়ক নির্মাণের পর সড়কের পার্শ্ববর্তী কারানল হাওরে অতিরিক্ত কিছু ব্লক থেকে যায়। যা কাস্তুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল হক রন্টি রাস্তা নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ-এর কাছ থেকে ক্রয় করে রেখেছেন দাবী করে মোঃ ফয়সল ভূঁইয়ার নিকট নব্বই হাজার টাকায় বিক্রি করেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ছয়লক্ষ টাকা।
তিনি আরো বলেন, গতকাল শনিবার (২৩ মে) ফয়সল ব্লক সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি এলাকার লোকজন নিয়ে বাঁধা দেই এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করি। ফয়সল ভূইয়া একই ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত ফখরুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে।
এ বিষয়ে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার সুশান্ত কুমার সরদার এ প্রতিনিধিকে জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে চেয়ারম্যান সাইফুল হক রন্টির কাছে আমরা কোন ব্লক বিক্রি করিনি।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) কিশোরগঞ্জ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল আলম মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে সওজ কিশোরগঞ্জ-এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সালেহীন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সঠিক তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অষ্টগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আবেদ আলী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ক্রেতা ফয়সলকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মৌখিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। কিন্তু এখনো আমরা এর কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
ঘটনা অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হক রন্টি বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তবে ক্রেতা ফয়সল নব্বই হাজার টাকায় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হক রন্টির কাছ থেকে ব্লক ক্রয়ের কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।