নিজস্ব প্রতিনিধি ।।
বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কবিতাগ্রন্থ “সোনালী কাবিনের” কবি আল মাহমুদের ৮৫তম জন্মদিন কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয়। কবির জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইলে সকাল ১০টায় কবি মহিবুর রহিম, সাংবাদিক রেজাউল করিম, কবি আমির হোসেন, কথাসাহিত্যিক শাদমান শাহিদ, কবি নাগর হান্নান, মো. শাহরিয়ার রোকন, মো. হাসান, মো. ইয়াকুবসহ কবি লেখকগণ কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সুরা ফাতেহা পাঠ ও কবির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে কবির সাহিত্য সাধনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই স্বতস্ফুর্ত আলোচনায় কবি আল মাহমুদকে একজন কালজয়ী কবি হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।
কবি মহিবুর রহিম বলেন, কবি আল মাহমুদ আমাদের সাহিত্যের এক মৌলিক প্রতিভা। কবিতায় এবং কথাসাহিত্যে তিনি সমান পারদর্শী। তাঁর সব গ্রন্থই ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। কবি আমির হোসেন বলেন, এ যুগের পাঠকের অবশ্যপাঠ্য দু’টি গ্রন্থ “সোনালী কাবিন” ও “প্রদোষে প্রাকৃতজন”। যা থেকে তরুণ লেখকগণ অনুপ্রেরণা পেতে পারে। সাংবাদিক রেজাউল করিম বলেন, আল মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর অহংকার। কোন কিছুই তাঁর খ্যাতিকে আড়াল করতে পারবে না। রম্যলেখক পরিমল ভৌমিক বলেন, এক “নোলক” কবিতাই তাঁকে বাঙালি পাঠকের কাছে অমর করে রাখবে। নাগর হান্নান বলেন, “সোনালী কাবিন” শুধু বাংলাদেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও কবিকে খ্যাতির উচ্চতম স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে। শাদমান শাহিদ বলেন, আল মাহমুদ তাঁর লেখনীতে প্রমাণ করেছেন তিনি এ যুগের শ্রেষ্ঠ লেখক। তাঁর সাথে কেবল জীবনানন্দের কিছুটা তুলনা হতে পারে।
সবশেষে কবির সাহিত্য বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।